উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
শেষ দফার ভোটের আগে এদিন সোনিয়া-কন্যা সভা করেন উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায়। সালিমপুরে কংগ্রেস প্রার্থীর রাকেশ মিশ্রর সমর্থনে। সভা থেকে তুলোধোনা করেন মোদিকে। প্রিয়াঙ্কার তোপ, প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের প্রতিভা দারুন। মানুষকে সব সময় সত্যি বলা উচিত একজন নেতার। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রচার ও মিথ্যার ভিত্তিতে রাজনীতি করছেন। কোনও উন্নয়ন নেই। ‘মজবুত’ নয়, মোদির সরকার ‘উদ্ধত’। দমনমূলক মানসিকতা নিয়ে চলছে তাঁর সরকার। প্রতিদিন বিজেপি নেতারা যে ভাষায় বক্তব্য রাখছেন, তা থেকেই তাঁদের ঔদ্ধত্য স্পষ্ট। গণতন্ত্রে আসল ক্ষমতা মানুষের হাতে থাকে। কিন্তু মোদি সরকার এর উল্টো পথে হাঁটছে। মোদি সরকার উন্নয়নের কথা বলছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন সীমাবদ্ধ তাদের বিজ্ঞাপনের মধ্যে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। তাঁর যদি ৫৬ ইঞ্চির ছাতি হয়, তাহলে কেন দেশের কৃষকদের এই দুর্বিষহ দশা। আপনারা তাঁকে চীন ও জাপানে যেতে দেখেছেন। পাকিস্তানে গিয়ে বিরিয়ানি খেতেও দেখেছেন। কিন্তু কখনও তাঁকে কোনও গরিব মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সমস্যার কথা শুনতে দেখেছেন?
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা এদিন তুলনাও টানেন মোদির। তিনি বলেন, গঙ্গা যাত্রা দিয়ে প্রচার শুরু করে বারাণসী পৌঁছেছিলাম। মনে করেছিলাম, বারাণসীতে বুঝি বিশাল উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দেখলাম রাস্তায় বড় বড় গর্ত। কোথাও উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও নেই। যখন প্রথম আমেথি গিয়েছিলাম, আমার দশ বছর বয়স ছিল। আমার বাবা (রাজীব গান্ধী) সাংসদ ছিলেন। কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই জায়গাতেই কংগ্রেসের সরকার ছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে আমেথিতে বিশাল উন্নয়ন হতে দেখেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী মোদি বারাণসীর সাংসদ। কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপির সরকার রয়েছে। কিন্তু বারাণসীতে কোনও উন্নয়ন হয়নি। গত পাঁচ বছরে দেশে ১১ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু এই ইস্যুতে মোদি সরকার নীরব। মোদি সরকার শিল্পপতিদের বিশাল পরিমাণ ঋণ মকুব করেছে। আমি জানতে চাই, একইভাবে কেন কৃষকদের ঋণ মকুব করা হচ্ছে না?