উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
ভোট গণনা নিয়ে বুধবার বর্ধমানে সর্বদলীয় বৈঠক করেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত, উজ্জ্বল প্রামাণিক, শহর সভাপতি অরূপ দাস, সিপিএমের পক্ষ থেকে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাস, প্রাক্তন সভাধিপতি উদয় সরকার ও আব্দুল মালেক, বিজেপি-র পক্ষ থেকে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা, সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায়, দেবেশ চক্রবর্তী এবং কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) তথা বর্ধমান পূর্ব আসনের রিটার্নিং অফিসার অরিন্দম নিয়োগী সহ প্রশাসনের অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে প্রশাসন ও পুলিসের অফিসাররা নিয়মিত ভিজিট করছেন। একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা প্রার্থীর এজেন্ট পরিচয়পত্র নিয়ে স্ট্রংরুম ভিজিট করেন। কিন্তু, প্রার্থীদের এজেন্টরা কোনওভাবে স্ট্রংরুমের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবেন না। তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে ক্যাম্প বানাতে হবে। সেই ক্যাম্পে বসেই প্রার্থীর এজেন্টরা সিসি টিভির ফুটেজ দেখতে পাবেন। এজন্য বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে(ইউআইটি) এবং বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম এমবিসি ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে ক্যাম্প তৈরি শুরু হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। আধ ঘণ্টা আগে কাউন্টিং এজেন্টদের হলের মধ্যে ঢুকে পড়তে হবে। আর সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে প্রার্থী এবং তার ইলেকশন এজেন্টদের ঢুকে পড়তে হবে। কারণ, প্রার্থী কিংবা ইলেকশন এজেন্টের উপস্থিতিতে স্ট্রংরুমে সিল খোলা হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কাউন্টিং এজেন্টদের ২২মে রাতে বর্ধমানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি বিধানসভায় পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা করা হবে। বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৪টি বিধানসভার কেন্দ্রে ৭০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা হবে। সেজন্য চূড়ান্ত রেজাল্ট পেতে রাত হয়ে যেতে পারে বলে জেলা প্রশাসনের অফিসাররা মনে করছেন। এদিন সর্বদলীয় বৈঠক শেষে জেলাশাসক এবং পুলিস সুপার ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে স্ট্রংরুম পরিদর্শনে যান।