উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে চূড়ান্ত যাত্রা শুরু করেন রুদ্রপ্রসাদ হালদার, বিপ্লব বৈদ্য, কুন্তল কাঁড়ার, শেখ সাহাবুদ্দিন এবং রমেশ রায়। এজেন্সি পিক প্রোমোশনের অন্যতম কর্তা কেশব পোড়েল বলেন, এদিন সকালে রুদ্রপ্রসাদ, বিপ্লব, সাহাবুদ্দিন এবং রমেশ সফলভাবে শৃঙ্গ আরোহণ করেছেন। কিন্তু সামান্য দূরত্ব থেকে ফিরে আসতে হয়েছে কুন্তলকে। আপাতত ক্যাম্প ৪ এবং সামিট ক্যাম্পের মাঝে তিনি রয়েছেন। ক্যাম্প ৪ থেকে দু’জন শেরপাকে সহযোগিতার জন্য তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বেসক্যাম্প থেকে চারজন শেরপা এবং একজন চিকিৎসক ক্যাম্প ৪’র উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছেন। চেষ্টা করা হচ্ছে, বুধবার রাতের মধ্যেই কুন্তলকে ক্যাম্প ৪’এ নামিয়ে আনতে। যাতে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে কুন্তলকে ক্যাম্প ২’তে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারযোগ সরাসরি কাঠমাণ্ডু নামিয়ে আনা হবে তাঁকে। তিনি আরও বলেন, কুন্তলকে উদ্ধার কাজে অন্যতম সেরা শেরপা নির্মল পুরজাকেই নামানো হয়েছে। অন্য একটি সূত্রের দাবি, আগের থেকে অনেকটা ভালো আছেন কুন্তল কাঁড়ার।
কেশব পোড়েল আরও জানিয়েছেন, নামার সময় বিপ্লব বৈদ্যও কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুধবার রাতের মধ্যেই তিনি ক্যাম্প ৪’এ চলে আসবেন বলে কেশবজি আশাবাদী। আর বাকি তিনজন (রুদ্রপ্রসাদ হালদার, রমেশ রায় এবং শেখ সাহাবুদ্দিন) বুধবার দুপুরের মধ্যেই নিরাপদে এবং সুস্থভাবে ক্যাম্প ৪’এ নেমে এসেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁরা বৃহস্পতিবারের মধ্যে বেস ক্যাম্পে নেমে আসবেন।
এদিকে, বুধবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে কামি রিটা শেরপা এভারেস্ট শৃঙ্গে উঠেছেন বলে তাঁর এজেন্সি সেভেন সামিট ট্রেকস জানিয়েছে। তিনি নিরাপদে এবং সুস্থভাবে নীচে নেমে আসছেন। এবারের সফল অভিযানের পর কামি রিটা শেরপা ২৩তম বার এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করলেন। যা নতুন একটা বিশ্বরেকর্ড। অবশ্য এখানে উল্লেখ্য, আগের ২২ বার শৃঙ্গ জয়ের রেকর্ডটাও তাঁর দখলে ছিল। এখন তাঁর লক্ষ্যমাত্রা ২৫ বার এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়। পিছনে কয়েকজন থাকলেও, রেকর্ড ভাঙা নিয়ে ভাবিত নন কামি রিটা শেরপা।