উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৫৭ হাজার ২৯৯ ভোট পেয়েছিল। সিপিএম পেয়েছিল ৪২ হাজার ৪৮৯টি ভোট। বিজেপি ২৬ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়েছিল। আর কংগ্রেস ৪ হাজার ৪১১ ভোট পেয়েছিল। লোকসভায় সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের মূল লড়াই হয়েছিল। এই কেন্দ্রে থেকে তৃণমূল ১৪ হাজার ৮১০ ভোটে লিড পেয়েছিল। পাশাপাশি ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট হয়েছিল। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস আলাদা করে প্রার্থী দেয়নি। সিপিএম জোট পেয়েছিল ৬২ হাজার ১৯৪ ভোট। তৃণমূল ৫৭ হাজার ৯৯৬ ভোট পেয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল ১০ হাজার ৭৯৭ ভোট। বিধানসভাতেও সিপিএম জোট প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর লড়াই হয়েছিল। প্রায় ৪ হাজার ১৯৮ ভোটে সিপিএম জোট প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বেলঘরিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, গত বিধানসভায় সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট ছিল। এবার আর জোট নেই। তাই, বিধানসভার ওই অঙ্ক এবার আর কাজ করবে না। তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় সংসদ সদস্য হিসাবে এখানে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। তাছাড়া তিনি সব সময়ে এই বিধানসভার মানুষের পাশে ছিলেন। ফলে, তাঁর মতো অধ্যাপক প্রার্থীকে জেতাতে সকলেই তাঁকে ভোট দেবেন। এবার আমরা এই কেন্দ্র থেকে ভালোই লিড পাব।
স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, গত লোকসভার পর থেকে মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। গত বিধানসভায় হাতেনাতে তৃণমূল তার প্রমাণ পেয়ে গিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, মানুষ ওদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফলে, গত বিধানসভায় আমরা যত ভোটে জিতেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি ভোটে এই কেন্দ্র থেকে আমরা লিড পাব। বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায় বলেন, এটা বিধানসভা বা পুরসভা নির্বাচন নয়। তাই মানুষ সিপিএম, তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবে না। দেশের স্বার্থে মানুষ এবার মোদিকে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করতে একজোট হয়েছে। এই বিধানসভার মানুষও তাতে শামিল হয়েছেন। তাই এই এলাকার মানুষ ঠিক মতো করে ভোট দিতে পারলে এই কেন্দ্র থেকে আমাদের লিড নিশ্চিত। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তাপস মজুমদার বলেন, মানুষ কাকে ভোট দেবে তা ঠিক করে ফেলেছে। ফলে, গতবারের লোকসভা বা বিধানসভার কোনও অঙ্কই এবার কাজ করবে না।