উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
অন্যদিকে, পুলিস-প্রশাসন বা শিক্ষা দপ্তর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও এখনও আতঙ্কিত প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ফেসবুকে আমার পোস্টটি দেখে শিক্ষা জগতের বহু মানুষ, দপ্তরের আধিকারিক এবং পুলিস প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। তবু আমি ওই দিনের হুমকির কথা কিছুতেই ভুলতে পারছি না। সবসময়ই আমার চোখের সামনে ভাসছে। তবে সবাই আমায় আশ্বস্ত করায় এদিন সকাল থেকে মোবাইল ফোন খুলেছি। ভয় লাগলেও এদিন ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করেছি। স্বাতীদেবী বলেন, সমস্ত বিদ্যালয়ই ডিআইয়ের অধীনে। তাই তিনি যে তথ্য চাইবেন বা তিনি যদি খাতা দেখতে চান আমরা অবশ্যই দেখাব। আর তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। শুধু তাই নয় ছাত্রীরা চাইলেও আমরা তাদের খাতা দেখাব।
প্রসঙ্গত, রিষড়া গার্লস হাইস্কুলের বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য বিভাগ থেকে মোট ১৭২ জন ছাত্রী রেজিস্ট্রেশন করে। তার মধ্যে ১৫০ জন বাৎসরিক পরীক্ষা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী ৯ এপ্রিল ফল প্রকাশের পর দেখা যায় মোট ৪৬ জন ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে। অকৃতকার্য হওয়া ছাত্রীদের অধিকাংশই স্কুলে আসত না। তাদের পড়াশোনার হাল যে খারাপ তা হাফ ইয়ারলি পরীক্ষার পর অভিভাকদের জানানোর জন্য ডাকা হলেও বেশিরভাগ অভিভাবক হাজির হননি। স্বাভাবিকভাবে তারা অকৃতকার্য হয়। তারপরেই অকৃতকার্য হওয়া ছাত্রীদের পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে বেশ কয়েক দফায় স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবক ও ছাত্রীরা।
তাদের চাপের কাছে নতিস্বীকার না করেই স্কুল কর্তৃপক্ষ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে রেজাল্ট পাঠায়। এরপরেই ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য স্কুল ছুটি পড়ে যায়। তাই পাশ করানোর দাবিতে প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করে অভিবাবকরা প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে প্রধান শিক্ষিকা স্বাতীদেবী ফেসবুকে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। এরপরেই জেলার শিক্ষা মহলে আলোড়ন পড়ে যায়। তড়িঘড়ি জেলা বিদ্যালয় সংসদও কি হয়েছে তা জানার চেষ্টা করে।