পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
সূত্রের খবর, আট মাস আগে আরামবাগের এক ট্রাভেল এজেন্সিতে ফোন করে এক ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তারবাবু বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, তারকেশ্বর চাঁপাডাঙা থেকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য গাড়ি লাগবে। ২ হাজার ৫০০ টাকায় ভাড়ার রফা হয়। অনলাইনে টাকা গাড়ির মালিকের কাছে পৌঁছে যায়। কথামতো গাড়ি পাঠান গাড়ির মালিক। তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা থেকে এক ব্যক্তি ডানলপে যান ওই দিন। ডাক্তার বাবু নামে ওই ব্যক্তি বলেন, আমার প্রায়ই গাড়ির প্রয়োজন হয়। ফোনে গাড়ি বললে আপনারা পাঠিয়ে দেবেন। টাকার জন্য সমস্যা হবে না। গত সোমবার ফোনে ওই ব্যক্তি আবারও ওই এজেন্সির মালিককে ফোন করে চাঁপাডাঙা একটি গাড়ি পাঠাতে বলেন। গাড়ির চালক চাঁপাডাঙা এসে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ফোন করলে, তিনি পিয়াসাড়া মোড়ে গাড়িটি নিয়ে আসতে বলেন। পিয়াসাড়া মোড়ে গাড়িটি নিয়ে আসার পর ওই ব্যক্তি ফোনে গাড়ির ড্রাইভারকে বলেন, আমি একটু সমস্যায় কলকাতায় আটকে পড়েছি। আমার একটি লরি তোমার গাড়ির কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির নম্বরও দিয়ে দেয় ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি পাশের স্টোনচিপস দোকানের মালিকের সঙ্গে ফোনে কথাও বলিয়ে দিতে বলে ওই ব্যক্তি। এরপর স্টোনচিপের গাড়িটি খালি করানোর জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীকে ফোন দেন ভাড়া করা গাড়ির চালক। স্টোনচিপস খালি করানোর পর টাকা নিয়ে ডানলপে টাকা পৌঁছে দিতে বলেন। ডানলপে টাকা পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক মহিলা গাড়ি ভাড়া এবং বকশিস মিলিয়ে ২০০ টাকা গাড়ির ড্রাইভারকে দেন। ইতিমধ্যেই যে স্টোনচিপ ভর্তি লরিটি খালি করা হয়েছিল তার ড্রাইভার টাকা না পেয়ে তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ জানায়। টাকা দিয়ে ফেরার পথে তারকেশ্বর থানার পুলিস ভাড়া করা গাড়ির চালককে আটক করে । এরপর চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টি পুলিস জানতে পারে। তারপরেই এমন ফোন এলে ট্রাভেল এজেন্সিকে খবর দিতে বলেপুলিস। শুক্রবার ফের গাড়ি ভাড়ার জন্য ফোন করে ডাক্তার বাবু। তারকেশ্বর পুলিসের পরিকল্পনামাফিক গাড়ি নিয়ে ওই ব্যক্তির কথা মত রওনা দেন গাড়ির চালক সহ তারকেশ্বর থানার পুলিস। আগের দিনের মতোই এদিনও গাড়ি খালি করার কথা ফোনে জানায় ওই ব্যক্তি। ৬০ হাজার টাকার স্টোনচিপস মাত্র ৩৭ হাজার টাকায় একটি জায়গায় খালি করে দেওয়া হয়। লরিচালক ও স্টোনচিপ ব্যবসায়ী টের পাননি তাঁরা প্রতারণার ফাঁদে পড়ছেন। এরপর ৩৭ হাজার টাকা নিয়ে ডানলপে এক নার্সিংহোমের সামনে টাকা ওই মহিলার হাতে দিয়ে দেওয়ার কথা বলেন ডাক্তারবাবু। সেইমতো টাকা নিতে এলেই হাতেনাতে পুলিস জয়ন্তী মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে।