বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলার বাবা শ্রী চাঁদ কলোনির এই ঘটনায় পুলিস তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রধান অভিযুক্ত যশমের ছাড়া তার দুই সাগরেদকেও পাকড়াও করা হয়েছে। তাদের নাম টিটু সিং এবং জাগির সিং। গত ২৯ ডিসেম্বর পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক একদিন আগে নৃশংসভাবে খুন হন ৫০ বছরের তেজিন্দর সিং। সম্পর্কে তিনি যশমেরের শ্যালক। প্রথমে পুলিসের কাছে যশমের জানায়, ২৯ ডিসেম্বর সকালে তার স্ত্রী সরপঞ্চ প্রার্থী রুপিন্দরের হয়ে ভোটপ্রচার করছিলেন তেজিন্দর। তখনই অকালি প্রার্থী সন্দীপ কাউরের স্বামী হরজিন্দর সিং এবং আরও পাঁচজন মিলে তেজিন্দরকে ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোঁটা দিয়ে মারধর শুরু করে। মাথায় লাঠির বাড়ি মেরে তেজিন্দরকে খুন করে হরজিন্দরের সঙ্গীরা। যশমের এবং টিটু কোনওমতে সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়। পুলিস প্রথমে যশমেরের কথা বিশ্বাস করে তদন্ত শুরু করে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসএসপি-গ্রামীণ পরমপাল সিং জানান, যশমেরের বক্তব্যে কোথাও গলদ আছে, তা তদন্তে নেমেই বোঝা যায়। পরে যশমেরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে পুলিসের কাছে সব দোষ কবুল করে। জিজ্ঞাসাবাদে যশমের জানিয়েছিল, সে আসলে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছিল। প্রথমত, ভোটের আগের দিন শ্যালক খুনের ধুয়ো তুলে সহানুভূতির ভোট আদায়। আর দ্বিতীয়ত, তার ভাই সোনার হত্যার বদলা নেওয়া। জঙ্গি সন্দেহে ১৯৯১সালে যশমেরের ভাই পলবিন্দর সিং ওরফে সোনা পুলিসের গুলিতে প্রাণ হারান। তখন থেকেই যশমেরের সন্দেহ ছিল, তেজিন্দরই সেদিন পুলিসের হাতে সোনাকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তার বদলা নেওয়ার সুযোগ দীর্ঘ দু’দশক ধরে খুঁজছিল যশমের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তার বিরুদ্ধে ৩০২ (খুন), ৫০৬ (ফৌজদারি হুমকি), ১৪৮ (সশস্ত্র হয়ে সংঘর্ষ), ১৪৯ (বেআইনি জমায়েত) সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পাঞ্জাব পুলিস।