বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই সিপিএম বিধায়ক ও দলের শিক্ষকনেতা প্রদীপ সাহা পয়েন্ট অফ ইনফরমেশন তুলে একটি বই অধ্যক্ষকে দেখিয়ে বলেন, ‘ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ নামে বইয়ের ১১২ নম্বর পৃষ্ঠায় বিপ্লবী-সন্ত্রাসবাদ অধ্যায়ে ক্ষুদিরামকে সন্ত্রাসবাদী বলা হয়েছে। কী করে এ রকম লেখা হয় সরকারি বইতে? অবিলম্বে এটা পাল্টানোর ব্যবস্থা করুন। অধ্যক্ষ বইটি জমা দিতে বলেন। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই বিবেচনা করা হবে। কংগ্রেসের অসিত মিত্র প্রদীপবাবুকে সমর্থন করে অধিবেশনে বলেন, এর প্রতিবাদ করছি। ইতিহাস বইয়ে কেন এ রকম লেখা থাকবে?
এরপর বইটি অধ্যক্ষের মারফত যায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। পরে পার্থবাবু অধিবেশনে বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের। দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে জানানো সত্ত্বেও সংশোধন করা হয়নি। তারা কী করে এই রকম অনুমোদন দিল? আমার দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জীবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করা হবে। কয়েকজন শিক্ষাবিদ এবং প্রধান শিক্ষক থাকবেন কমিটিতে। বইয়ের লেখা চূড়ান্ত করার আগে এই কমিটি দেখে নেবে। তিন মাসের মধ্যে ওরা এ ব্যাপারে একটা রিপোর্ট দেবে।
যাঁর প্রতিবাদের জেরে শিক্ষামন্ত্রী এদিন নিজের দপ্তরের কাজের ভুল স্বীকার করতে বাধ্য হলেন, সেই প্রদীপবাবু পরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, গত ৪ তারিখ শিক্ষা বাজেটের দিন বিষয়টি উত্থাপন করলে পার্থবাবু তা মানতে চাননি। উনি সেদিন বেসরকারি বইয়ে এই ধরনের কাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এদিন অবশ্য তিনি নিজের ভুল মেনে নিয়ে তা শুধরে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এই ধরনের আরও অনেক ভুল এবং বিতর্কিত বিষয় বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে রয়েছে। এবার সেগুলিও ঠিক করা হোক।
উল্লেখ্য, নতুন বই তৈরি করার পর থেকেই একাধিক ভুল-ত্রুটি ধরা পড়েছিল। তা নিয়ে বারেবারে শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগও জমা পড়ে। এমনকী শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও নালিশ করা হয়। কিন্তু এতদিন সেই ভুল-ত্রুটি সংশোধন করার কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। যা নিয়ে ক্রমশ অসন্তোষ বাড়ছিল শিক্ষামহলে। শেষ পর্যন্ত টনক নড়েছে সরকারের। সমস্ত বই ত্রুটিমুক্ত করতে তাই কাজ শুরু করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ওই বইগুলি খুঁটিয়ে দেখানো হচ্ছে। সেই কাজ চলছে জোরকদমে। পরে জীবন মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা বইগুলি পড়ে দেখব। যে রকম পরামর্শ দেওয়ার দেব। তবে ক্ষুদিরাম, বাঘাযতীন, বিনয় বাদল দীনেশকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক নয়।