পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমরা প্রগতি প্রকল্পের মাধ্যমে সম্প্রতি জেলায় বেশকিছু যুবককে ড্রাইভিং শিখিয়েছি। কিছু যুবককে গাড়ি চালানো শেখানো হচ্ছে। এই প্রকল্পেরই দ্বিতীয় ধাপে আমরা কিছু ওপেন লার্নিং সেন্টার চালু করছি। সেখানে বিভিন্ন এলাকার প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের কোচিং দেওয়া হবে। এছাড়াও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ৫০০০ ছাত্রছাত্রীকে স্পোকেন ইংলিশ শেখানো হবে। আমি নিজেও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাস নেব। তারা যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারে তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনেক সময়েই দেখা যায় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ছাত্রছাত্রীরা রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসে। সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র হয়। ওসব পরীক্ষায় অনেকেই ভালো ফল করে। কিন্তু ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে না পাড়ার কারণে ইন্টারভিউতে তারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই ভয়ভীতি কাজ করে। ইংরেজিতে কথা বলতে না পারার কারণে অনেকে হীনমন্যতায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে ছাত্রছাত্রীদের বের করে আনার জন্যই জেলা পুলিস স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত জেলার চারটি জায়গায় স্পোকেন ইংলিশের এই ক্লাস চালুও হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৫০টি জায়গায় স্পোকেন ইংলিশের এই ক্লাস নেওয়া হবে। এলাকারই কোনও স্কুলে এই ক্লাস চালানো হবে। অপরদিকে জেলার ২২০০ ছাত্রছাত্রীকে স্কুলের শেষে কোচিং দেওয়া হবে। এই কোচিং দেবেন স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়াররা। সেখানে অঙ্ক, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান সহ অন্যান্য বিষয় পড়ানো হবে।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে জেলার মোট ৫০ জন যুবককে চার চাকা গাড়ি চালানো শেখানো হয়েছে। তাঁদের লাইসেন্স দেওয়ার কাজ চলছে। ওই প্রকল্পেই পরবর্তী ধাপে আরও ৬০ জনকে ড্রাইভিং শেখানোর কাজ চলছে। আগামী দিনে জেলার যুবকরা যাতে স্বনির্ভর হতে পারেন সেই দিকে দৃষ্টি দিয়েই পুলিস বিভাগ পর্যায়ক্রমে এমন উদ্যোগ নিচ্ছে।