পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
ছেলের মৃতদেহ নিতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ছিলেন জীবনের বাবা কিরণ গুরুং। তিনি শনিবার ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই অরুণাচল প্রদেশ থেকে চলে এসেছেন। তিনি অরুণাচল সরকারের একজন কর্মী। এদিন তাঁর সঙ্গে জীবনের দাদা রূপন গুরুং এবং ১১ জিআর এর পদস্থ কর্তারা বাগডোগরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এভাবে ছেলে মারা যাওয়ায় শোকাহত হলেও তিনি যে গর্বিত তা এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে জানান কিরণবাবু। তিনি বলেন, শুধু আমার ছেলে নয়, জীবন দেশের ছেলে। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। বাবা হিসেবে কষ্টে বুক ফাটলেও শহিদ ছেলের জন্য গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে। বিয়ের জন্য নিজেই পাত্রী পছন্দ করে রেখেছিল। তাতে আমাদের কোনও বাধা ছিল না। বলেছিল এপ্রিল মাসে বাড়ি ফিরবে। তখনই বিয়ে সারবে। সব চুরমার হয়ে গেল। এখন সব স্মৃতি।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শহিদ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। বিশেষ কিছু বলার নেই। আমরা চাই এভাবে আমাদের জওয়ানরা যেন প্রাণ না হারান। আমরা খুবই মর্মাহত। জীবনের আত্মবলিদান ব্যর্থ হবে না। তাঁর আত্ম বলিদানে দেশ আরও শক্তিশালী হবে। ছোট থেকেই গানের প্রতি জীবনের আকর্ষণ ছিল। গান গাওয়ার নেশাতেই এলাকায় গানওয়ালা নামে পরিচিত ছিলেন। ২০১৪ সালে সেই সুযোগ দার্জিলিংয়ে জলাপাহাড়ে সেনা ভর্তির পরীক্ষা দেখে উৎসাহে দেখতে গিয়েছিলেন জীবন। সেই যোগাযোগেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২/১ গোর্খা রেজিমেন্টে যোগ দিয়েছিলেন এই তরুণ।