বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিন কেন্দ্রের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার ব্যস্ততার কথা বলে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন গুজরাত সরকারের আইনজীবী রজত নায়ার। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। পরে মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের রিপোর্টের কপি তাদের হাতে দেওয়ার বিরুদ্ধে সওয়াল করেন রজত নায়ার। তাঁর যুক্তি ছিল, এতে রিপোর্টে নাম থাকা ব্যক্তিদের সম্পর্কে আগাম বাজে ধারণা তৈরি হতে পারে। সেই যুক্তি উড়িয়ে দেন বিচারপতিরা। কীভাবে গুজরাত সরকার মামলাকারীদের রিপোর্ট পাওয়ার দাবি খারিজ করতে পারেন সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, সরকার যে যুক্তিতে বিচারপতি বেদিকে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি থেকে আটকাতে চাইছে তাও খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। রিপোর্টটি মামলাকারীদের হাতে দেওয়ার বিরুদ্ধে সওয়াল করেছিলেন অপর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদীও। সেই আবেদনও এদিন খারিজ হয়ে যায়।
২০০৭ সালে বেছে বেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের এই ভুয়ো এনকাউন্টারগুলিতে মারা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন জাভেদ আখতার ও বি জি ভার্গিস। তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে বিচারপতি বেদির অধীনে নজরদারি কমিটি গড়েছিল শীর্ষ আদালত। কমিটির অধীনে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল এই ভুয়ো এনকাউন্টারগুলির তদন্ত করেছে। গত বছরই সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে তাদের রিপোর্ট জমা করেছে এই নজরদারি কমিটি। এর আগে বিচারপতি বেদি তাঁর চূড়ান্ত রিপোর্ট কমিটির অন্যান্য সদস্যদের জানিয়েছেন কি না তা জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত।