সিডনি, ১২ জুলাই: বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে আট উইকেটে হারের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। আটবার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠে এই প্রথমবার হার মানল অজিরা। আর তাই অ্যাসেজ সিরিজের আগে অ্যারন ফিনচদের পারফরম্যান্স নিয়ে শঙ্কায় অজি মিডিয়া। মেলবোর্ন এজের ক্রিকেট লিখিয়ে জন পেরিকের মতে, চোট সমস্যার জন্যই বিশ্বকাপে ভুগতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সেমি-ফাইনালে একতরফা ম্যাচে ইংল্যান্ড তাদের হারিয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছে। রবিবার লর্ডসে ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। জন পেরিক লিখেছেন, ম্যাঞ্চেস্টারে নেট সেশনে শন মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের চোট পাওয়া দিয়ে সমস্যার শুরু। দু’দিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান (উসমান) খাওয়াজা। ম্যাচটি হারে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় হার। ইংল্যান্ড ম্যাচে হারের পর এবিসির ক্রিকেট সংবাদদাতা জিওফ লেমন লিখেছেন, ইংল্যান্ডের বোলিংয়ের কোনও জবাব অজি শিবিরের কাছে ছিল না। ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জোফ্রা আর্চাররা সম্মিলিতভাবে ফিনচদের নাকানিচোবানি খাইয়ে হারাল। ইংল্যান্ডের স্থানীয় বোলাররা যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার তারকাখচিত ব্যাটিংয়ের দফারফা করল, তারপর আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া অ্যাসেজ সিরিজের সম্ভাব্য ফল নিয়ে দুশ্চিন্তায় অজি মিডিয়া।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মার্ক টেলর আগাম সতর্ক করে বলেছিলেন, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফল খারাপ হলে কিন্তু তার বিরাট প্রভাব পড়বে অ্যাসেজ সিরিজের উপর। ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসের উপর হারের নেতিবাচক পড়তে বাধ্য। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৪ রানে জিতেছিল। চোটের কারণে সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি ফর্মে থাকা ওপেনার জ্যাসন রয়। কিন্তু, নক-আউট পর্বে জ্যাসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটিতে যোগ হল ১২৪ রান। আর তখনই ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ান্স-এর মহিলা ক্রীড়া সাংবাদিক জ্যাকলিন ম্যাগনে লিখেছেন, বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার হারকে আসন্ন অ্যাসেজ সিরিজের আগে চরম সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখা উচিত। বল বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশ্বকাপেই তারা প্রথম খেলতে নেমেছিলেন।