কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
কমিশনের তরফে দুই নেতাকে পাঠানো চিঠিতে সরাসরি বলা হয়েছে, ধর্মঘটের প্রথম দিন ৮ জানুয়ারি সকালে মধ্যমগ্রামের কাছে একটি স্কুল বাসে সিপিএম এবং সিটুর সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। সেই সময় সেই গাড়িতে স্কুলের শিশুরা ছিল। সাধারণ আইনের পাশাপাশি শিশু সুরক্ষা বিধিরও সম্পূর্ণ পরিপন্থী এই কাজ। এব্যাপারে কমিশন তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিটু এবং দলের নেতা হিসেবে তাঁদের কৈফিয়ৎ তলব করছে। চিঠি প্রাপ্তির পাঁচ দিনের মধ্যে জবাব পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সুভাষবাবু ও সুজনবাবুর চিঠি যথাক্রমে সিটুর রাজ্য দপ্তর এবং আলিমুদ্দিনের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
সিপিএম সূত্রের খবর, এই চিঠি পাওয়ার পর গোড়ায় দলের নেতৃত্ব বেজায় ক্ষুব্ধ হয়। তাদের বক্তব্য, ৮ তারিখের ঘটনার সঙ্গে ধর্মঘটী দলীয় বা বাম সমর্থকদের কোনও যোগ ছিল না। সর্বোপরি, ঘটনার দিন সুভাষবাবু পথেই বের হননি। আর সুজনবাবু যাদবপুরে মিছিল করার সময় গ্রেপ্তার হয়ে লালবাজারের লক আপে ছিলেন। কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী মধ্যমগ্রামে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ধর্মঘটের উদ্যোক্তাদের বদনাম করতে চেয়েছিল। যদিও এব্যাপারে পুলিসি তদন্ত চলছে। কে বা কারা দোষী, তা আদালতে প্রমাণ হবে। প্রক্রিয়া শুরু হতেই কমিশন যেভাবে আগেভাগেই সিপিএম এবং সিটুকে দোষারোপ করে কৈফিয়ৎ তলব করেছে, তা আদৌ আইনসম্মত নয়। ক্ষোভের কারণে প্রথমে কমিশনের ওই চিঠির জবাব দেওয়া হবে না বলে ঠিক হলেও, পরে মত বদলে আইনজ্ঞের পরামর্শে সুভাষবাবু ও সুজনবাবুর জবাবি চিঠি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে একইসঙ্গে এনিয়ে চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়ের দরজাও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতৃত্ব।