কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ডাকবিভাগের কর্মীদের কাছে সেই মতোই পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি। যেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বয়ানে লেখা চিঠি বিলির কাজে গতি বাড়ান। এমনকী রবিবারও চিঠি বিলি করতে হবে। এরইসঙ্গে ডাক বিভাগের কর্মী এবং ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার জেনারেলদের চাপে রাখতে রীতিমতো মোটা হরফে বিজ্ঞপ্তিতে নজরদারির প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অত্যন্ত জরুরিকালীন ভিত্তিতে স্পিড পোস্টে চিঠি বিলি করুন। আপনাদের পারফরমেন্সের উপর মন্ত্রকের শীর্ষ মহল থেকে নজর রাখা হচ্ছে।
মন্ত্রকের এই মোটা হরফের নির্দেশেই চাপে পড়েছে ডাক বিভাগ। বিশেষত পিওনরা। কারণ, মোদির ছবি সহ আয়ুষ্মান ভারতের চিঠি বিলি করতে গিয়ে অনেক জায়গাতেই ডাকঘরের পিওনদের নানাবিধ হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রের নির্দেশ মতো রবিবার ছুটির দিনেও চিঠি বিলির সরকারি কর্মসূচি বজায় রাখতে হলেও তার জন্য কর্মীদের বেতন ব্যতিরেকে বাড়তি কোনও ভাতা বা অর্থ মিলবে না। মন্ত্রকের কাছেও এই ব্যাপারে ডাক বিভাগের কর্মীদের ক্ষোভের খবর এসেছে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব মতো পশ্চিমবঙ্গে এক কোটি ১২ লক্ষ পরিবার আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবে। যার মধ্যে গ্রামীণ পরিবারের সংখ্যা ৯৬ লক্ষ ২৪ হাজার। শহরের প্রায় ১৪ লক্ষ। এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গরিবদের জন্য ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নামে প্রকল্প চালালেও আয়ুষ্মান ভারত তথা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, কার্ডটির পোর্টেবিলিটি। অর্থাৎ আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড যার কাছে থাকবে, সেই ব্যক্তি/পরিবার কেবল নির্দিষ্ট কোনও রাজ্যে নয়, দেশের যেকোনও জায়গায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা।
ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অরগাইনাইজেশনের হিসেব মতো রোগীর চিকিৎসার খরচ এখন আগের চেয়ে প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সমীক্ষা করে বলছে, গ্রামের মানুষ চিকিৎসার খরচ জোগাতে আয়ের ৬৮ শতাংশ বাঁচিয়ে রাখে। ২৫ শতাংশ ধার করে মেটাতে হয়। শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ উপার্জনের বাঁচানো পয়সা থেকে হাসপাতালের বিল মেটায়। এবং ১৮ শতাংশ ধার করে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যখাতে ওষুধ, হাসপাতালের বিল মেটাতে গড়ে নাগরিকদের ৬০ শতাংশ নিজের পকেট থেকে খরচ হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষও ক্রমে গরিবির শিকার হয় বলেই মন্ত্রকের মত। সেই খরচ বাঁচাতেই বছরে গরিবদের জন্য বছরে পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকার এই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্র।