কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, শুধু তাজপুর বন্দর গড়াই নয়, প্রস্তাবিত কুলপি নদী বন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় ছাড়পত্র মিলেছে। কুলপি বন্দরও গড়বে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাইনর পোর্ট গড়ার যে ক্ষমতা রাজ্যের এক্তিয়ারে রয়েছে, তাকে ভিত্তি করেই তাজপুর বন্দর সংক্রান্ত (নোটিফিকেশন) বিজ্ঞপ্তি কয়েকদিন আগে জারি করেছে রাজ্য সরকার। ওই বিজ্ঞপ্তির অর্থ, তাজপুরের প্রস্তাবিত বন্দর তৈরির বিষয়টি রাজ্য সরকার নিজের আয়ত্তে নিচ্ছে। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গেই ‘ট্রান্সজাকশন অ্যাডভাইজার’ নামক সংস্থাকে প্রস্তাবিত বন্দর তৈরির বিষয়ে সমীক্ষা করতে বলেছে রাজ্য। ওই সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতেই কোন মডেলে গড়া হবে বন্দর, তা ঠিক হবে।
অন্যদিকে, ১৬ মিটার গভীরতার তাজপুর বন্দরের ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’কে সামনে রেখে সেখানে কীভাবে বার্থ সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে উঠবে, তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে ‘টেকনো-ইকোনমিক ফিজিবিলিটি’ রিপোর্ট তৈরির জন্য সমীক্ষা করাচ্ছে জাহাজ মন্ত্রক। ওই রিপোর্ট জমা পড়ার কথা চলতি মাসের ৩১ তারিখ। তারই মাঝে যৌথ উদ্যোগ ভেঙে রাজ্য সরকার বেরিয়ে আসায় নবান্নের সঙ্গে দিল্লির সংঘাত চরমে উঠতে চলেছে। প্রস্তাবিত সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই সংঘাত রাজনৈতিক আকার নেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে, প্রস্তাবিত কুলপি বন্দরের যাবতীয় ছাড়পত্র মেলায়, তা নির্মাণে আর কোনও বাধা রইল না রাজ্যের। ওই বন্দরটি তৈরি হবে পিপিপি মডেলে। দুবাই ভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড, কেভেন্টার গ্রুপের সংস্থা বেঙ্গল পোর্ট লিমিটেড এবং রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম যথাক্রমে ৪৪.৫, ৪৪.৫ এবং ১১ শতাংশ অংশীদারিত্বে এই বন্দর তৈরি করবে। এমনকী আদানি গোষ্ঠীও কুলপি বন্দর নিয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলায় গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরের রেপ্লিকা গড়ার কথা জানিয়েছিল।