কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, গত জুন মাসে বাস সহ অন্যান্য পরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি করেছিল সরকার। সেই সময়ে লিটার প্রতি ডিজেলের মূল্য ছিল ৬৮.২৭ টাকা। তারপর অবশ্য ডিজেলের দাম আরও কয়েক ধাপ বেড়েছিল। সেই সময়ে মালিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ফের পরিবহণ দপ্তরে চিঠি দিয়ে আবারও ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তোলা হয়েছিল। তবে তাঁদের সেই দাবি মানা হয়নি। ডিসেম্বরে এসে ডিজেলের দাম পড়তে শুরু করে। বর্তমানে কলকাতায় লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৬৬ টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ, যে সময়ে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল, সেই সময়ের দামের তুলনায় এখন ডিজেলের দাম কম। এই পরিসংখ্যানের উপরে ভিত্তি করেই ভাড়া কমানোর দাবি তুলছে যাত্রীদের একাংশ। যদিও, মালিকদের বক্তব্য, গত বছর যখন ভাড়া বৃদ্ধি হয়, সেই সময় ব্যয়ের সমানুপাতিক হারে ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি। তার পরবর্তী সময়ে যখন জ্বালানির দাম আরও বেড়ে গিয়েছিল, সেই সময়ে পরিষেবায় প্রভাব পড়তে দেওয়া হয়নি। তাহলে এখন কেন ভাড়া কমবে? প্রশ্ন মালিকদের। কোনও কোনও মালিক আবার ২০১৪ সালে যে ভাড়া বেড়েছিল, সেটিও ব্যয় অনুসারে হয়নি বলে দাবি করেছেন।
যাত্রীদের বক্তব্য, সরকার ভাড়া বৃদ্ধি করলেও বেসরকারি বাস সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দিতে দেয় না। ভাঙাচোরা বাসের অভিযোগ তো রয়েছেই, সঙ্গে আছে খেয়ালখুশি মতো পরিষেবা দেওয়ার অভিযোগ। দিনের পর দিন এমন ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের।
কী বলছেন বাস মালিকদের সংগঠনগুলির নেতারা? জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির পর তো জ্বালানির দাম আরও বেড়ে গিয়েছিল। তখন ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি কেন? তার উপর এর আগে যেভাবে ভাড়া বেড়েছে, তাতে ব্যয়ের হিসেব করা হয়নি। বর্তমানে বকেয়া জরিমানা আদায়ে পুলিস যেভাবে জুলুম করছে, তাতে মালিক-শ্রমিকরা আতঙ্কিত। অনেকে বাস রাস্তায় নামাতে ভয় পাচ্ছেন। তারও প্রভাব পড়ছে পরিষেবায়। এসব নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে। তার সুরাহা এখনও মেলেনি।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেবল ডিজেল দিয়েই বাস চলে না। বিমার প্রিমিয়াম, যন্ত্রাংশের দাম সবই ক্রমবর্ধমান। তার হিসেব করবে কে? প্রায় একই কথা জানিয়েছেন মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসুও। তাঁর দাবি, পুলিসের জরিমানার জেরে অনেক সময় রক্ষণাবেক্ষণের টাকাই মালিকরা ঘরে তুলতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতেও পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি আমরা।