বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
আর শরিকদের এই সিলমোহর পাওয়ার পর আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের ইস্যুকে সামনে রেখে বাম শিবির যে এবার বড় আকারে মানববন্ধন কর্মসূচি নিতে চলেছে, তাতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে যোগদানের আহ্বান জানানোর কথা চিন্তা করছে আলিমুদ্দিন। তবে এনিয়ে দল এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আজ শনিবার কলকাতায় দলের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে শহরে আসার কথা দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির। তাঁর সঙ্গে এনিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা একপ্রস্থ কথা বলবেন বলে ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দিল্লিতে ইয়েচুরির সঙ্গে এক দফা আলোচনা হয়েছে কংগ্রেস এমপি প্রদীপ ভট্টাচার্যের। তার সূত্র ধরেই আজ আলিমুদ্দিনের কর্তারা সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এনিয়ে কিছু কথা এগিয়ে রাখতে চান বলে দলীয় সূত্রের খবর।
সিপিএম সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ভাটপাড়ায় কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত একটি পদযাত্রায় সোমেন মিত্রদের সঙ্গে অংশ নেন সূর্যবাবু-বিমানবাবুরা। একসঙ্গে পুলিস কমিশনারের কাছে ডেপুটেশনও দেন তাঁরা। তবে সেই কর্মসূচি ছিল তাৎক্ষণিক। কোনও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে তা ছিল না। এখন বামফ্রন্টের সব শরিকের কংগ্রেস নিয়ে কোনও কোনও ছুৎমার্গ না থাকায় এবার বিষয়টিতে আনুষ্ঠানিকতার ছোঁয়া দিতে চাইছেন আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা। তার আগে ১৫ আগস্টের কর্মসূচি নিয়ে আগামী ১৭ জুলাই বামফ্রন্ট তার সহযোগী দলগুলির নেতৃত্বের সঙ্গে আরও একবার আলোচনা করতে চান তাঁরা। তবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের ইস্যুতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে আহ্বান জানানোর ব্যাপারে দু’-একটি বাদে বাকি সহযোগী দলগুলির তরফে তেমন আপত্তি আসবে না বলেই মনে করছেন বিমানবাবুরা। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র সহ ওই দলের নেতৃত্বের সঙ্গে একবার খোলাখুলি আলোচনা করে নিতে চাইছেন তাঁরা। তবে এই ধরনের কথাবার্তায় এবার কেবল সিপিএম নয়, সঙ্গে সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি’র প্রতিনিধিদেরও রাখার কথা ভাবছেন বিমানবাবুরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে স্বাধীনতা দিবস থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য স্তরে বাম-কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচি শুরু হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এবার ১৫ আগস্ট মানববন্ধন কর্মসূচি আগের তুলনায় কিছুটা বড় আকারে করার কথা ভাবছেন সূর্যবাবুরা। অন্যান্যবার মৌলালি থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতেন তাঁরা। এবার পরিধি বাড়িয়ে মানিকতলা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত টানা কয়েক কিলোমিটার জুড়ে এই কর্মসূচি পালন করতে চাইছে বাম নেতৃত্ব। কেবল কলকাতায় নয়, সেদিন রাজ্যের সর্বত্র এই ধরনের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার কথা ভেবেছে তারা। আর এই বর্ধিত কর্মসূচি সর্বাঙ্গীণ সফল করতে কংগ্রেসকে পাশে পাওয়ার কথা ভাবছেন সিপিএমের বড় কর্তারা। তবে বাম শিবিরের সকলের চূড়ান্ত মত এবং সোমেনবাবুদের সাড়া পাওয়ার উপর নির্ভর করছে সেই পদক্ষেপ।