বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এবারের রেলবাজেটে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গেই আজ রেলমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে ৫৪টি রেলপ্রকল্প চলছে। যার মধ্যে ১৬টি নতুন রেললাইন, চারটি গেজ কনভার্সন এবং ৩৪টি ডাবলিংয়ের প্রকল্প রয়েছে। সবমিলিয়ে মোট প্রকল্প খরচ প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বেশিরভাগ প্রকল্পই আটকে রয়েছে কারণ রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না। এমনকী বাংলার কিছু প্রকল্প আটকে রয়েছে সত্তরের দশক থেকে।’ এদিন সংসদে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাওড়া-আমতা এবং বড়গাছিয়া-চাঁপাডাঙা রেললাইন তৈরির প্রকল্প ১৯৭৪-৭৫ সালের। এর মাত্র ৪৩ কিলোমিটার কাজ করা সম্ভব হয়েছে। ১৬৩ কিমি দীর্ঘ একলাখি-বালুরঘাট রেললাইন তৈরি প্রকল্পে ৭৬ কিলোমিটার অংশের কাজ বাকি রয়েছে। এটি ১৯৮৩-৮৪ সালের প্রকল্প। আবার ১৯৮৪-৮৫ সালের তমলুক-দীঘার ১৬৮ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের প্রায় ৮০ কিলোমিটার অংশের কাজ করাই যায়নি। কারণ কোথাও জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। প্রকল্পের বাস্তবায়নে টাকার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না। অভিযোগ করেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
এদিন মন্ত্রীর জবাবি ভাষণের পরেই তৃণমূলের এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় প্রতিবাদ করে বলেন, ‘রেলমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন। একলাখি-বালুরঘাট অংশের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ট্রেনও চলছে। মন্ত্রী বরং নিজে এসে দেখে যান।’ যদিও এর কোনও পাল্টা জবাব রেলমন্ত্রী আর দেননি। বরং নির্দিষ্ট করে এই প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।