বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বাড়ির কর্তার নাম অঞ্জন মণ্ডল। তাঁরা তিন ভাই। ফ্ল্যাটের আদলে তাঁদের তিনতলা বাড়ি। তিন ভাই পরিবার নিয়ে এক একটি ফ্লোরে থাকেন। প্রত্যেকের কমন সিঁড়ি রয়েছে। সদর দরজা সারাদিন ভেজানো অবস্থায় থাকে। অঞ্জনবাবু বলেন, তিনতলা বাড়ির নীচের তলায় আমি থাকি। আর তিনতলায় পরিবার নিয়ে ছোট ভাই থাকে। এদিন বাড়িতে কোনও পুরুষ ছিল না। ছোট বৌমা কোনও কাজে নীচে নেমে এসে সদর দরজা খুলে বাইরে বেরিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় ওরা ঢুকেছে। আমার বাড়িতে একটি কুকুর রয়েছে। ওরা ঢোকার পর থেকেই সে চিৎকার করছিল। কিন্তু বিষয়টি ততটা কেউ গুরুত্ব দেয়নি। ওরা ছোট ভাইয়ের ঘরে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসপত্র হাতানোর চেষ্টা করে। মানি ব্যাগ থেকে কিছু টাকা নেয়। আরও কিছু খোঁজাখুঁজি করছিল। কিন্তু কুকুরের চিৎকার শুনে ছোট বৌমা উপরে যায়। কুকুরের চিৎকারে ওরা ভয় পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে পালানোর চেষ্টা করছিল। ছোট বৌমার চিৎকারে সকলেই ছুটে আসেন। ওদের সকলকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। চুরির টাকা ওদের কাছ থেকে আদায় করা গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাদের পাড়াতে একজনের বাড়িতে দামি মোবাইল চুরি হয়েছিল। তাদের সন্দেহ, এই ঘটনায় এই মহিলারা জড়িত রয়েছে। বিষয়টি কাউন্সিলারকে জানাই। তিনি পুলিসকে খবর দেন। তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলার রামকৃষ্ণ পাল বলেন, ওই ওয়ার্ডটি আমার স্ত্রীর। বাড়ির কর্তা আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। এলাকার লোকজন ওদের ধরে রেখেছে। এই ভাবে শিশুকে পেটে কাপড়ে বেঁধে চুরি করা যায় আমরা ভাবতে পারছি না। পুলিসকে জানানো হয়েছে। পুলিস সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিয়ে গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, এই এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু বাড়ির ভিতরে এই সব চুরির ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা জানা যাচ্ছিল না। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সকলের ধারণা, এই সব চুরির পিছনে মহিলা গ্যাঙের হাত রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাঁরা কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।