অতি সম্প্রতি কালিন্দী নাট্যসৃজন তাদের নবতম প্রযোজনা মোহন রাকেশের ‘আষাঢ়ের প্রথম দিনে’ মঞ্চস্থ করল। প্রসঙ্গত, ঠিক একই সময়ে আরো দুটি নাট্যগোষ্ঠী মোহন রাকেশের অন্য দুটি নাটক মঞ্চস্থ করেছেন।
ভাগীরথীর বুকে জেগে ওঠা এক চর। শহর থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম। নাম ঈশ্বরীপুর। সেই গ্রামের দূষণহীনতার মধ্যে বেড়ে ওঠে সত্যচরণ আর ধূর্জটিনারায়ণ, দুই বন্ধু। যৌবনের শুরুতেই একই গুরুর কাছে তাঁদের রাজনীতির পাঠ নেওয়া। শিক্ষাগুরু নিত্যানন্দ ছিলেন আদর্শবাদী, ন্যায়পরায়ণ। সত্যবাদিতা যার কাছে একমাত্র সত্য।
বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
চন্দন দাশকে নাট্যমোদী মানুষ যতটা চেনেন অভিনেতা এবং নির্দেশক হিসেবে, নাট্যকার হিসেবে ততটা বোধহয় তাঁর পরিচিতি নেই। কিন্তু ঘটনা হল তিনি নাটক লেখেন এবং শুধু নাটকই নয়, কবিতাও তাঁর লেখনী থেকে জন্ম নেয়। ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তাঁর প্রথম নাটক ‘ভুল ঠিকানায়’। ২০১২ সালে সেটি প্রকাশিত হয়। তাঁর দ্বিতীয় নাটকের নাম ‘হিতে বিপরীত’। এবছর বইমেলায় সেটি বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। নাটকের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত থাকলে নাটক লেখার অনেকগুলি সুবিধে পাওয়া যায়। যেমন, প্রযোজনার কথা মাথায় রেখে নাটকের দৃশ্যকল্পনা ও মঞ্চসজ্জা এবং সেই অনুসারে সংলাপও লেখা যায়। চন্দন দাশ স্বভাবতই সেই সুবিধেগুলো পেয়েছেন এবং তার পূর্ণ সদ্বব্যহার করেছেন।
চারটি চরিত্র এই নাটকে। দুটি পুরুষ ও দুটি নারী। মঞ্চসজ্জায় বিশেষ বাহুল্যের প্রয়োজন নেই। সংলাপও দর্শককে মজিয়ে দিতে পারবে। আদ্যন্ত হাসির এই নাটক কোথাও একটা একটা সমাজকে একটা বার্তাও দেয়। শশাঙ্ক বিপত্নীক। তাঁর একটি ছেলে। বাকি লোক বলতে একটি ঠিকে কাজের মেয়ে। একদিন ঝড়জলের সন্ধেয় উল্টোদিকে ফ্ল্যাটের এক মধ্যবয়সিনী প্রায় জোর করেই ঢুকে পড়েন শশাঙ্কর ফ্ল্যাটে। তিনি লুকিয়ে জানলা দিয়ে তাঁর স্বামীর ওপর নজর রাখতে চান। শুধু সেদিনই নয়। এইভাবে লুকিয়ে নজর রাখা চলতে থাকে। বিপত্নীক এক পুরুষ ও স্বামীর ওপর সন্দিহান এক নারী দিনের পর দিন একসঙ্গে নিভৃতে সময় কাটালে কী হতে পারে? আন্দাজ করে নিন! নাটকের শেষটা আর বলছি না। তবে অভিনয়ের জোর থাকলে এই নাটক দর্শক দারুণ নেবে একথা বলতে পারি।প্রকাশক দেবাশিস দাস, প্রচ্ছদ এঁকেছেন নীলাভ চট্টোপাধ্যায়। দাম ১৫০ টাকা।
চারটি চরিত্র এই নাটকে। দুটি পুরুষ ও দুটি নারী। মঞ্চসজ্জায় বিশেষ বাহুল্যের প্রয়োজন নেই। সংলাপও দর্শককে মজিয়ে দিতে পারবে। আদ্যন্ত হাসির এই নাটক কোথাও একটা একটা সমাজকে একটা বার্তাও দেয়। শশাঙ্ক বিপত্নীক। তাঁর একটি ছেলে। বাকি লোক বলতে একটি ঠিকে কাজের মেয়ে। একদিন ঝড়জলের সন্ধেয় উল্টোদিকে ফ্ল্যাটের এক মধ্যবয়সিনী প্রায় জোর করেই ঢুকে পড়েন শশাঙ্কর ফ্ল্যাটে। তিনি লুকিয়ে জানলা দিয়ে তাঁর স্বামীর ওপর নজর রাখতে চান। শুধু সেদিনই নয়। এইভাবে লুকিয়ে নজর রাখা চলতে থাকে। বিপত্নীক এক পুরুষ ও স্বামীর ওপর সন্দিহান এক নারী দিনের পর দিন একসঙ্গে নিভৃতে সময় কাটালে কী হতে পারে? আন্দাজ করে নিন! নাটকের শেষটা আর বলছি না। তবে অভিনয়ের জোর থাকলে এই নাটক দর্শক দারুণ নেবে একথা বলতে পারি।প্রকাশক দেবাশিস দাস, প্রচ্ছদ এঁকেছেন নীলাভ চট্টোপাধ্যায়। দাম ১৫০ টাকা।
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী
