বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ভারতের কোচ স্টিভন কনস্টানটাইন এদিন দল সাজিয়েছিলেন ৪-৪-২ ফর্মেশনে। পরিকল্পনা ছিল, প্রবল গতিতে আক্রমণ শানিয়ে প্রতিপক্ষের মিডল থার্ড থেকে ডিফেন্সিভ থার্ডে ফাটল ধরানো। ম্যাচের প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দু’টি আক্রমণ শানায়। কিন্তু তা সামলে পাল্টা ঝাঁপায় ভারতীয় দল। আট মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার বিষ মেশানো কর্নার থেকে অরক্ষিত সন্দেশ ঝিংগানের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এই মুভটাই তাতিয়ে দিয়েছিল সুনীল-আশিকদের। মিনিট চারেক পরেই সুনীলের ‘জেম অব আ থ্রু’ গোলমুখ খুলে দিয়েছিল আশিকের সামনে। কিন্তু তাঁর নেওয়া শট রুখে দেন প্রথম পোস্ট কভার করা বিপক্ষ গোলরক্ষক। ২৩ মিনিটে আবার একটি সোনার সুযোগ হারায় ভারত। ডানদিক থেকে অনিরুদ্ধ থাপার ক্রসে নেওয়া সুনীলের হেড কর্নারের বিনিময়ে বিপন্মুক্ত করেন গোলরক্ষক। সেই মুহূর্তে মাথায় হাত দিয়ে আপশোস করতে দেখা যায় স্টিভন কনস্টানটাইনকে। ৪১ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে লিড নেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। লুজ বল ধরে ডানদিক থেকে আলি আমেদের পাস ধরে আনাস এবং অনিরুদ্ধ থাপার চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে ডান পায়ের শটে গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে হার মানান মুবারক আল সামসি (১-০)। এই গোলের জন্য দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের ভুল বোঝাবুঝি অন্যতম কারণ। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সমতায় ফিরতে পারত ভারত। কিন্তু সুনীল ছেত্রীর গড়ানো শট দ্বিতীয় পোস্টের কয়েক ইঞ্চি বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। বিরতির আগে এরিয়াল বলে বিপক্ষের এক ফুটবলারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে উঠে মাথা ফাটে সন্দেশ ঝিংগানের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হোলিচরণ নার্জারির পরিবর্তে জেজেকে মাঠে নামান কোচ স্টিভন। এই অর্ধের প্রারম্ভিক পর্বে সমতা ফেরানোর জন্য ঝাঁপায় ভারত। ৫৭ মিনিটে জেজে এবং সুনীলের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে নেওয়া উদান্তার অনবদ্য শট বিপক্ষ গোলরক্ষককে হার মানিয়েও ক্রসপিসের নীচে লেগে বেরিয়ে যায়। এরপর বিপজ্জনক জায়গা থেকে সুনীলের ফ্রি-কিক তিনকাঠির মধ্যে ছিল না। তবে ৬৫ মিনিটের পর ক্রমশ ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তাই অবিনাশ থাপাকে তুলে নিয়ে রোলিন বর্জেসকে ব্যবহার করেন ভারতের কোচ। ৭৫ মিনিটে আল হামাদির শট দ্বিতীয় পোস্টে লাগে। শেষ পর্বে পিছন থেকে ভেসে আসা বল নিয়ন্ত্রণে এনে প্রীতম কোটালকে কাটিয়ে মাপা শটে ব্যবধান বাড়ান আলি আমেদ (২-০)। সংযোজিত সময়ে সন্দেশের হেড পোস্টে ধাক্কা খায়।
ভারত: গুরপ্রীত সিং সান্ধু, প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিংগান, আনাস, শুভাশিস বসু, উদান্তা সিং (জ্যাকিচাঁদ সিং), প্রণয় হালদার, অনিরুদ্ধ থাপা (রোলিন বর্জেস), হোলিচরণ নার্জারি (জেজে), আশিক কুরিয়ান ও সুনীল ছেত্রী।