বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে বেলিয়াবেড়া থানার কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিঞ্চা গ্রামে সুবর্ণরেখা নদীতে স্নান করতে গিয়ে সে তলিয়ে যায়। সঙ্গে তার বন্ধু ও সম্পর্কিত জামাইবাবুও ছিল। তারা স্বপনের খোঁজ না পেয়ে গ্রামে গিয়ে খবর দেন। পরে গ্রামের লোকজন নৌকা নিয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের লোকজনও ঘটনাস্থলে আসে। তবে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের লোকজন থাকলেও সরঞ্জাম না থাকায় জলে নেমে খোঁজ করতে পারেনি। ওইদিন রাত পর্যন্ত স্বপনের কোনও খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় এদিন সকালেও খোঁজ চালানো হয়। কিন্তু, কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে ভরসা করতে হয় সেই কলকাতার উপর। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ কলকাতা পুলিসের প্রশিক্ষিত ডুবুরি সহ একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই দলে দু’জন ডুবুরি ছিল। একজন জলে নামে। প্রায় আধঘণ্টা পর জলের নীচ থেকে স্বপনের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর স্বপনের বাবা সুনীল রাউৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তপসিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে ডুবুরি ও সরঞ্জামই যদি না থাকে তাহলে থেকে লাভ কী? গত বছরও শ্রাবণ মাসে দু’জন ছাত্রী সুবর্ণরেখা নদীতে তলিয়ে যাওয়ার পর দেহ উদ্ধার করা যায়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় কোনও প্রশিক্ষিত ডুবুরি নেই। এমনকী বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কোনও সরঞ্জাম নেই। সরঞ্জামের জন্য ভরসা করতে হয় খড়্গপুরের উপর। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, নতুন জেলায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কিছু ঘাটতি রয়েছে। রাজ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে। আমরা প্রশিক্ষিত ডুবুরির একটি টিম তৈরি করব।