বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে এদিন বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে সাংগঠনিক সভা করেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১টা নাগাদ সাংগঠনিক সভার কাজ শুরু হয়। প্রথম সভায় দলের জেলা কমিটির নেতারা, মহকুমা, ব্লক ও অঞ্চল কমিটির সভাপতিরা, শাখা সংগঠনের সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতেই নির্বাচনী বুথ কমিটি গঠন নিয়ে সভায় রিপোর্ট পেশ করা হয়। এখনও পর্যন্ত সমস্ত ব্লক কমিটি সেই কাজ শেষ করতে পারেনি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
পরে দলের জেলা নেতাদের একাংশ বলেন, জেলার ২৬টি ব্লকে বুথের সংখ্যা ৫৭০৬টি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিটি বুথে নির্বাচনী কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০জন করে সদস্য রাখার কথা। কমিটির সদস্যরা নির্বাচন পরিচালনা এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে জনমুখী প্রচার চালাবেন। এই কমিটি গত ১৫ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কিছু জায়গায় সমন্বয়ের অভাব এবং ব্লক ও অঞ্চল কমিটির নেতাদের উদাসীনতার জেরে তা হয়নি বলে অভিযোগ।
দলের জেলা পর্যবেক্ষক অবশ্য বলেন, ইতিমধ্যে ১৬টি ব্লকে নির্বাচনী বুথ কমিটি গড়া হয়েছে। নওদা, সাগরদিঘি, ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ সহ ১০টি ব্লকে কমিটি গড়ার কাজ চলছে। তাদের ২৮ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া, লোকসভা ভোট নিয়ে ব্লক সভাপতিদের উপরই আস্থা রাখছি। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও শাখা সংগঠনের নেতাদের নিয়ে তাঁদের নির্বাচনী কমিটি গড়তে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
এদিনের সভায় মূলত বুথস্তরের এবং শাখা সংগঠনের নেতারাই বক্তা ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দল পরিচালনা ও দলীয় কার্যকলাপ নিয়ে এদিন সভায় বুথ ও শাখা সংগঠনের ২০জন নেতা বক্তব্য রাখেন। শাখা সংগঠনের এক নেতা বলেন, ব্লকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকা হয় না। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা হয় না। আর এক ব্লক নেতা বলেন, শাখা সংগঠনের নেতারা পার্টি অফিসের পাশ দিয়ে যাতায়াত করলেও অফিসে ঢোকেন না। এলাকার কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। শাখা সংগঠনের নেতাদের কয়েকজন বহরমপুর শহরে পড়ে থাকেন।
পরে শুভেন্দুবাবু বলেন, এদিন সভায় বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। অনেকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। সমন্বয় বজায় রেখে সবাইকে চলতে বলেছি। দলীয় কর্মসূচির ব্যাপারে মোবাইলে এসএমএস করে কিংবা চিঠির মাধ্যমে সবাইকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছি। চিঠি রিসিভ করে রাখার পাশাপাশি এসএমএস মজুত রাখতে বলেছি। তা হলে ভবিষ্যতে দলীয় কর্মসূচির ব্যাপারে আমন্ত্রণ মেলে না বলে অভিযোগ উঠবে না।
এরপর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারী সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা পরিষদের সমস্ত সদস্যকে নিয়ে দ্বিতীয় এবং আটটি পুরসভার ১৫০জন কাউন্সিলারকে নিয়ে তৃতীয় বৈঠক করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি বৈঠকে উন্নয়নমূলক কাজ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি পরিষেবা প্রদানের খতিয়ান নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি, লোকসভা ভোটে সমস্ত জনপ্রতিনিধিকে নিজেদের এলাকা থেকে দলীয় প্রার্থীদের লিড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।