গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
অন্যদিকে, আশ্রম পরিচালিত স্নেহচ্ছায়া হোমের আবাসিক আরতি জানা, মৌসুমী হাজরা ও সোনালি দলাই এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে। এদের মধ্যে প্রথম চারজন পাঁউশি বৈকুণ্ঠ মিলনী বিদ্যামন্দির থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। স্নেহচ্ছায়া হোমের বাকি তিনজন আবাসিক ছাত্রী কাঁথির বিভিন্ন হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। এদের মধ্যে তন্ময়ের মা আছেন, বাবা নেই। রাধী ও আরতির বাবা-মা কেউ নেই। চন্দনার বাবা নেই। মা মানসিক ভারসাম্যহীন। আর স্নেহচ্ছায়া হোমের তিনজন ছাত্রীরই বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতে শেষ পর্যন্ত এই আশ্রমে ঠাঁই হয়েছে। সকলেই আশ্রমিক পরিবেশে একটু একটু করে নিজেদের তৈরি করেছে এবং পড়াশোনা করে ধাপে ধাপে এগিয়ে গিয়েছে। এবার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হতে পেরে একই সঙ্গে তারা আনন্দিত এবং কিছুটা নার্ভাসও বটে। তবে সকলেই জানিয়েছে, পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় এবং দেশের ও দশের মুখ উজ্জ্বল করতে চায়।
আশ্রমের কর্ণধার বলরাম করণ এবং অন্যতম পরিচালক ময়না করণ বলেন, এখন আশ্রমই ওদের বাড়ি। সুখ-দুঃখ, হাসি¬-কান্না, ভালো-মন্দ সবকিছুরই ঠিকানা হয়ে উঠেছে এই আশ্রম। পড়াশোনা থেকে শুরু করে খেলাধুলা, সবকিছুই হয় আশ্রমেই। অভিভাবকহীন হয়েও ইচ্ছে, চেষ্টা ও মনের জোরে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়া যায় বলেই আমরা মনে করি। তাঁরা বলেন, এই আশ্রমের অনেক ছাত্রছাত্রী আজ প্রতিষ্ঠিত চাকরিজীবী। আবার কেউ কেউ অন্যান্য পেশাতেও যুক্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, আশ্রম থেকে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই আশ্রমের বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাছাড়া আমরা সর্বদাই আবাসিকদের পাশে রয়েছি। ওরা আরও এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের কামনা।