পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে লটারির মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য এই ফ্ল্যাট বণ্টন করা হবে। এই ফ্ল্যাট তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কিছু ভর্তুকিও দিচ্ছে। যাদের আয় মাসিক ১৫ হাজার টাকার মধ্যে তাঁরা ওয়ান বিএইচকে ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৩৭৮ বর্গফুট। এর মূল্য রাখা হয়েছে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এধরনের ফ্ল্যাটের আবেদনপত্র আড়াই হাজার টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে। অন্যদিকে যাঁদের মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকার মধ্যে তাঁরা টু-বিএইচকে ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ফ্ল্যাটের আয়তন ৫৫৯ বর্গফুট। এধরনের ফ্ল্যাটের মূল্য পড়বে ৯ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। এই ফ্ল্যাটের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আবেদনপত্র নিতে হবে।
তবে এই ফ্ল্যাটের জন্য জমি ও জমির পরিকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তা তৈরি, সীমানা প্রাচীর তৈরি, বাইরের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, জল সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য উপভোক্তাকে কোনও খরচ করতে হবে না। আপাতত প্রথম পর্যায়ে ৩২জন এধরনের ফ্ল্যাট পাবেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। ওই রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকের কোচবিহার, মধুপুর, ঘুঘুমারি, দিনহাটা ও মাথাভাঙা শাখা থেকে আবেদন পত্র পাওয়া যাবে। বিশদে জানার জন্য কোচবিহার জেলাশাসকের দপ্তরের হাউজিং বিভাগে যোগাযোগ করা যেতে পারে। তবে ফ্ল্যাট পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীর নিজের বা পরিবারের নামে এরাজ্যে কোনও পাকা বাড়ি থাকা চলবে না। আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট জেলার বাসিন্দা হতে হবে।
এদিকে এই প্রকল্পে ফ্ল্যাট তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। চারতলা ফ্ল্যাটগুলিকে বছরখানেকের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হবে। এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ হতে পারে। ধাপে ধাপে ফ্ল্যাটগুলির কাজ শেষ হবে। তবে বাসিন্দারা অনেকেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে যথেষ্ট খুশি। অনেকেই জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শহরে এসে বসবাস করতে চান। কিন্তু বর্তমানে কোচবিহার শহরে জমির দাম কার্যত আকাশছোঁয়া। বাড়ি করার উপযোগী ফাঁকা জমিও যথেষ্ট কম। অনেকের পক্ষ্যেই সেকারণে জমি কিনে বাড়ি করা সম্ভব নয়। তাঁরা বিশেষত ফ্ল্যাটের খোঁজ করেন। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটও অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্য রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ যথেষ্ট সুবিধাজনক হবে।