উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
মোগল সরাই থেকে বারাণসী আসার পথে রেলব্রিজ পেরনোর পরই যে বিস্তীর্ণ রেলওয়ে শান্টিং ইউনিটের মাঠ এটাই ছিল মুন্না বজরঙ্গীর দপ্তর। সুপারি কিং মুন্নাই ছিল কয়লা মাফিয়া রাম অবতারের ভরসা। যে কোনও প্রতিপক্ষকে চিরতরে শান্ত করার কাজটা সুপারি কিং মুন্নাই করে দিত। মোগল সরাই, বারাণসী, জৌনপুর, মীর্জাপুর, গাজিপুরের এমন কোনও অপরাধ ছিল না যাতে মুন্না বজরঙ্গীর হাত নেই। কিন্তু আসল কাজটা তার বাকি। তার বস মুখতার আনসারির উপর হামলার বদলা। ব্রিজেশ সিং কে না পেয়ে ব্রিজেশের মাথায় যাঁর হাত ছিল সেই বিজেপি নেতা কৃষ্ণানন্দ রাইকে খুন করে দিল মুন্না। কটা গুলি করেছিল? ৬৭টা! ২০০৯ সালে মুন্না গ্রেপ্তার। তার আগেই মুখতার আনসারি গ্রেপ্তার। তারপর ব্রিজেশ সিং। কিন্তু তিনজনই জেল থেকে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিল। তাদের গ্যাং কাজ করেছে জেল থেকে পাওয়া অর্ডার অনুযায়ী। আর এরকমই এক সময় গত বছর উত্তরপ্রদেশের অপরাধ জগতে সবথেকে বড় খবর। বাগপত জেলে মুন্না বজরঙ্গী খুন। এক অন্য বন্দী সুনীল সিং তাকে গুলি করেছে। বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে মুন্নার মৃতদেহ সৎকারের সময় পুলিশের সামনেই স্লোগান উঠল মুন্না ভাইয়া আমরা বদলা নেবই নেব। মুন্নার মৃত্যু হয়েছে। ব্রিজেশ সিংয়ের নিশ্চিন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু হতে পারছে না। কেন? বারাণসীর কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর চন্দ্রপ্রতাপ ভান নই সড়ক আউটপোস্ট থেকে সবেমাত্র ফিরেছেন। কারণ শেষ কয়েকদিনে লাগাতার রোড শো। বুধবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বৃহস্পতিবার অখিলেশ যাদব মায়াবতী। আর শোনা যাচ্ছে শুক্রবার থেকে তিনদিন থাকতে আসছেন স্বয়ং মোদিজি। অতএব বারাণসীর পুলিশ চরম ব্যস্ত। সেই প্রস্ততি দেখে ফেরা চন্দ্রপ্রতাপ ভান বললেন, ওসব স্লোগান দিয়ে কোনও লাভ হবে না। মুন্না চলে গিয়েছে। ওই জায়গা নেওয়ার মতো কোনও সুযোগই আমরা দেব না। যোগীজির আমলের ফর্মুলা জানেন তো? সব ক্রিমিনালকে জেলে বন্দি করে রাখা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে বিকেডি সেই জায়গা নিচ্ছে? এবার গম্ভীর হলেন চন্দ্রপ্রতাপ। বললেন আমরা জানি। কিন্তু বারাণসীতে সে ঢোকে না। হয়তো জৌনপুরে থাকে। এর বেশি কিছু বলছে না পুলিশ। কিন্তু বারাণসীর বড় ব্যবসায়ীদের কাছে আজকাল ফোন আসছে। চাঁদার জন্য। এ সবের পিছনে বিকেডি। মুন্না বজরঙ্গীর সবথেকে বিশ্বস্ত! বিকেডির আসল নাম ইন্দ্রদেব সিং। সমস্যা হল সে নাকি ঘনঘন নিজের চেহারা বদলে ফেলে। নির্দিষ্ট কোনও ছবি নেই পুলিশের কাছে। তাই পুলিশও টেনশনে। বিকেডি কি নতুন মুন্না বজরঙ্গী হতে চলেছে? তার থেকে বড় প্রশ্ন হল সে কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাচ্ছে গোপনে? পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সেটা জানা জরুরি। ইতিমধ্যেই দুটো অপহরণের ঘটনা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ কেস হয়নি! বারাণসী পুলিশের নতুন মাথাব্যথা এসে গিয়েছে। বি কে ডি!