কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ব্রিগেডের সমাবেশ মঞ্চের প্রেক্ষাপটই বলে দিচ্ছিল, সভার মূল সুর ঠিক কী! ইউনাইটেড ইন্ডিয়া বা ঐক্যবদ্ধ ভারত, এই সুরেই বাঁধা ছিল গোটা সমাবেশ। উত্তর-পূর্ব, উত্তর, পশ্চিম আর দক্ষিণের বিজেপি বিরোধী রাজনীতির মহারথীদের একমঞ্চে হাজির করিয়ে গোটা দেশকে সেই বার্তাই দিয়েছেন মমতা। সভার সর্বভারতীয় চেহারার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মাইক্রোফোন হাতে কখনও বাংলায়, কখনও হিন্দিতে আবার কখনও ইংরেজিতে সভা পরিচালনা করেছেন তিনি। একের বিরুদ্ধে একের লড়াই, মমতার সেই রাজনৈতিক তত্ত্বকেও ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’র মঞ্চ থেকে মান্যতা দিয়েছে এই বিরোধী কোলাজ। এতগুলি দলের মহাজোটের মুখ কে হবেন? কেইবা হবেন প্রধানমন্ত্রী? গেরুয়া শিবির থেকে ছুঁড়ে দেওয়া এই প্রশ্নগুলির জবাব এদিন স্পষ্ট ভাষায় দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র আর সংবিধান রক্ষার মতো ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই বিরোধীদের এই জোট, এই সভা। দেশের স্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যেখানে যে শক্তিশালী, তাকে সমর্থন দিতে হবে। যৌথ নেতৃত্ব চাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম না করে মমতার খোঁচা—ও আগে যাক। কে প্রধানমন্ত্রী হবে, তোমায় চিন্তা করতে হবে না। তবে এটা বলতে পারি, পাঁচ বছরের জন্য আচ্ছে সরকারই আসতে চলেছে।
দেশের নেতা কে? সওয়ালের সঙ্গে জবাবও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, দেশের নেতা তিনিই, যিনি সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন। এই জোটের আমাদের সবাই নেতা-সংগঠক আর কর্মী। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, ভাবার দরকার নেই। নির্বাচনের পর দেখা যাবে। বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে গেরুয়া শিবিরের টানা কটাক্ষের জবাবে তাঁর পরামর্শ, দেশকে অখণ্ড রাখতে হলে, বিজেপি’কে হটাতেই হবে। মঞ্চে বসা চন্দ্রবাবু নাইডুর উদ্দেশে মমতার আহ্বান, অন্ধ্রপ্রদেশে সভা ডাকুন, আমি যাব। একইভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ফারুক এবং ওমর আবদুল্লা, অখিলেশ যাদব কিংবা তেজস্বীর নাম করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, বিজেপি বিরোধী জোটের এই চেহারা সাধারণের সামনে তুলে ধরতে আপনারা সভা করলেই আমি সেখানে পৌঁছে যাব।
ব্রিগেডের জনপ্লাবনের মেজাজ ছিল গেরুয়া শিবির বিরোধী। সেই মেজাজকে উপলব্ধি করে পুরনো ‘অগ্নিকন্যা’ ইমেজকে যেন আরেকবার ঝালিয়ে নিলেন মমতা। বললেন, আজ ব্রিগেডে সভা হচ্ছে। অন্যদিকে দিল্লিতে এজেন্সি নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। কীভাবে কার পিছনে লাগা যায়। যা খুশি ওরা (কেন্দ্র সরকার) করুক। সিবিআইয়ের অফিসাররা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেন। কেউ খারাপ নন। কিন্তু সংস্থার মূল কাঠামোটাই নষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। ফের নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ—লুটের টাকায় ভোট, লুট করেছ নোট। উনি একাই সৎ, বাকি সবাই অসৎ। এনপিএ, বিমা, রাফাল কী কী হয়নি! সরকারটা গেলে বুঝবে। বিরোধী জোটের মধ্যমণির হুঁশিয়ারি—সততা দেখাচ্ছ! এত টাকা কী করে হয়। পার্টি অফিস তো নয়, যেন শপিং মল। ব্যক্তিগতভাবে কারও বিরুদ্ধে বলি না, কিন্তু আপনারা কাউকে ছাড়েননি। সোনিয়াজি, লালুজি, অখিলেশ, কেজরিওয়াল, মায়াবতীজি কাউকে ছাড়া হয়নি। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে। মমতার ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা—সুযোগ এলে, আপনাকে কেন ছাড়ব!