কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ব্রিগেডে দেশের অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলির কার্যত এই মহাজোট মঞ্চকে এদিন ‘ইউনাইটেড অ্যান্টি-ন্যাশনালস অ্যাট ব্রিগেড’ হিসেবে চিহ্নিত করে দিনভর প্রচারে নেমেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ একের পর এক ট্যুইট বার্তায় মমতার এই ব্রিগেড সমাবেশের প্রবল সমালোচনা করেছেন বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, ‘এটি আসলে কোনও মহাগটবন্ধন নয়। বরং একে ‘মহাঠগবন্ধন’ হিসেবে অভিহিত করা যায়। একদিকে রয়েছেন দেশের সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত দলের নেতারা। আর অন্যদিকে কেলেঙ্কারির আঁচ পর্যন্ত না লাগা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। দু’টোর সঙ্গে লড়াই তো অনেক দূরের কথা। কোনও তুলনাই করা চলে না।’ ট্যুইট বার্তায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে শাসন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে একেবারে পঙ্গু করে রেখে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন, বাংলা নাকি বিশ্বের সবথেকে শান্তিপূর্ণ জায়গা। অথচ একমাত্র এই রাজ্যেই প্রশাসন এবং আইনের কোনও শাসনই নেই। পুলিশ প্রশাসনকে মানছেই না তৃণমূলের গুণ্ডারা।’
কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সুরে গলা মিলিয়েই বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সহনেতা সুরেশ পূজারি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের এই ব্রিগেড সমাবেশকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। কারণ এই সমাবেশ আদতে রাজনীতি থেকে ব্রাত্য এবং রাজনৈতিক অবসর নেওয়া নেতাদের গেট-টুগেদার ছাড়া আর কিছুই নয়। এদের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে যেতে আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত।’ এদিন তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে শত্রুঘ্ন সিনহার উপস্থিতিকেও তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা রাজীবপ্রতাপ রুডি বলেন, ‘কিছু মানুষ নানারকমভাবে তাঁদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে থাকে। কিছু মানুষ আবার সংসদ সদস্য হিসেবে যাবতীয় সুবিধা ভোগ করবেন বলে বিজেপির সিলমোহর গায়ে জড়িয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন। আর সেই কারণেই তাঁরা তাঁদের দলীয় সদস্যপদ হারাতে চান না। কিন্তু সুবিধাবাদী মানসিকতার কারণে তাঁরা অন্য মঞ্চে হাজির হতেও দ্বিধাগ্রস্ত হন না।’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের এই ব্রিগেড সমাবেশকে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বললেও বিজেপি যে আদতে একে চরম গুরুত্ব দিচ্ছে, তা স্পষ্ট। এমনিতেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকেই পাখির চোখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই অমিত শাহ দলের বঙ্গ নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ২২টি লোকসভা আসনে জয়লাভ করতেই হবে। তিনি নিজেও আগামী সপ্তাহে পরপর পাঁচটি সভা করতে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন। এরই পাশাপাশি এদিন সুরেশ পূজারি বলেন, ‘দলের প্রস্তাবিত ব্রিগেড সমাবেশ ছাড়াও রাজ্যের আরও অন্তত দু’টো জায়গায় প্রকাশ্য সমাবেশ করবেন নরেন্দ্র মোদি। একটি হবে উত্তরবঙ্গে। অন্যটি দক্ষিণবঙ্গে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই যাবতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’