বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি গাড়ি করে অস্ত্র ও টাকা পাচার করছিল। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, তিন তারার গাড়ি সাধারণত ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিস আধিকারিক ব্যবহার করেন। বেআইনিভাবে তিন তারা লাগানো গাড়ি ব্যবহার করার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন প্রয়োজনে তারা গাড়িতে তিন তারা লাগিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড থেকে বিজেপির বেশ কয়েকজন বারাসত শহরের একটি হোটেলে উঠেছে বলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। রবিবার ও সোমবার রাতে বারাসত থানার পুলিস হোটেলে গিয়ে তল্লাশিও চালায়। হোটেলে বহিরাগত থাকা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার রাতে বিজেপির এক নেতার বাড়ির সামনে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তুহিন মণ্ডলের বাড়িতে দলীয় নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। সেখানে দলের রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, বিজেপির বারাসত জেলা সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, সোমবার রাতে তিন তারা গাড়ি সহ ১০টি গাড়ির কনভয় তুহিনবাবুর বাড়িতে দিকে যাচ্ছিল। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, সেই গাড়িতে করে অস্ত্র ও টাকাও পাচার করা হচ্ছিল। এরপরই তৃণমূল কর্মীরা কনভয়ের পিছনে ধাওয়া করেন। ততক্ষণে পাঁচটি গাড়ি পালিয়ে যায়। বাকি পাঁচটি গাড়ি এলাকার তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় লোকজন ধরে ফেলেন। তুহিনবাবুর বাড়ির সামনে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে বারাসত থানার পুলিস এসে অরবিন্দ মেনন, প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পাঁচজন বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে বারাসত থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি তিনতারা বিশিষ্ট গাড়ি সহ পাঁচটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। তৃণমূল কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে বারাসত থানার সামনে এসে জড়ো হন। বিজেপি কর্মী, সমর্থকরাও সেখানে হাজির হন। অভিযোগ, থানার সামনে একজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়। রাতে খবর পেয়ে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার ঘটনাস্থলে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, অশান্তি পাকানোর জন্য বিজেপি অস্ত্র ও টাকা পাচার করছিল। অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে রাতে বিজেপি নেতারাও সেখানে হাজির হন।
বিজেপির বারাসত জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, তৃণমূল আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না। তাই নানাভাবে আমাদের দলীয় নেতা, কর্মীদের হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিন তারা গাড়িটি তাহলে কারা এনেছে? তিনি বলেন, তিন তারা গাড়িটি আমাদের নয়। ওরা যা অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন।