বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন বিকেলে মঙ্গলবার চট্টাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। মহেশতলা ও ঠাকুরপুকুর ব্লকের ৪টি অঞ্চল নিয়ে জনসভা ছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর ডায়মন্ডহারবারে আসা নিয়ে একহাত নেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি বিজেপি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে গত একবছর আগেও ঘন ঘন এখানে আসতে দেখা যায়নি। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন বলে ঘন ঘন আসছেন। কিন্তু তিনি কোনও উন্নয়নের কাজ করে দেখাতে পারেননি। দেড় বছর আগে ডায়মন্ডহারবার কেল্লা থেকে নদীর ধার ধরে সাজানোর জন্য সেখানকার রেলের ও সামরিক বাহিনীর জায়গা চাওয়া হয়েছিল। এজন্য চিঠিও দিয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সহযোগিতা করেনি। এখন সেই ডায়মন্ডহারবারে আসছেন মোদি ভোট চাইছে। আরও একটা কথা বলতে চাই, তা হল, এই জেলার বিজেপির কাউকে প্রার্থী না করে উত্তর দিনাজপুরের একজন অচেনা মানুষকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল। যার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এমন একজন ব্যক্তির হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচার করতে এসে নিজের পদের অমর্যাদা করছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর আগে বলেছিলেন, আচ্ছে দিন আসবে। কোথায় সেই দিন? গ্যাস, পেট্রল, ডিজেল থেকে নোটবন্দি হাজার হাজার মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। সেই মোদি সভা করতে আসছেন এখানে। লোক পাচ্ছে না। তাই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভাড়া করে লোক আনছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডায়মন্ডহারবারে সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাস্তা, সেতু, পানীয় জল থেকে পরিকাঠামো খাতে পূর্ত, জনস্বাস্থ্য দপ্তরের টাকা রয়েছে। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, মোদি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীর জন্য এত টাকা দূরঅস্ত এর দশ শতাংশ খরচ করতে পারেননি। অমিত শাহর কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল প্রার্থী।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে একহাত নেন। বলেন, নোটবন্দির জন্য আমজনতার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়েছে বিজেপি নেতাদের পরিবারের। এরমধ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কথা অবশ্যই বলতে হবে। তিনি ও তাঁর ছেলে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন। সেই অমিত শাহ এখানে এসে বড় বড় কথা বলছেন। পশ্চিমবঙ্গে সামগ্রিক উন্নয়ন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মা- মাটি- মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই উন্নয়নের কাণ্ডারি। ফলে মানুষ এখানে তৃণমূল ছাড়া অন্য কাউকে ভাবছে না। তিনি বলেন, ওরা টাকা দিয়ে ভোট করাচ্ছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। অভিষেকের কথায়, প্রধানমন্ত্রী শুধু নয়, বিজেপির আরও যতজন নেতা আছে, তাঁরা ডায়মন্ডহারবারে এলেও কিছু করতে পারবে না। এখানে জোড়া ফুল ছিল আগামী দিনে থাকছে। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম।