বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ব্যবসা করার নাম করে কলকাতার একটি নামী সংস্থা ২০০৮ সালে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৫২৪ কোটি ঋণ নেয়। বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখানো হয়েছিল ব্যাঙ্কের কাছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অন্তর টাকা জমা না পড়ায়, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে। দেখা যায়, ঋণের টাকায় কোনও প্রজেক্টই করা হয়নি। পুরো টাকাই একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে কোম্পানির কর্ণধাররা পাচার করেছেন বিভিন্ন জায়গায়। সেখান থেকে পরে এই টাকা তাঁদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সেই টাকায় কেনা হয়েছে একাধিক সম্পত্তি। ব্যাঙ্কের তরফে সিবিআইয়ের কাছে প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়। তারা প্রথমে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু ভুয়ো কোম্পানি খুলে টাকা সরানোর প্রসঙ্গ এসে পড়ায় ইডিও আলাদা করে তদন্ত শুরু করে। এরজন্য প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে (পিএমএলএ) তারা মামলা রুজু করে।
তদন্তে উঠে আসে, যে কোম্পানির নামে ঋণ নেওয়া হয়েছিল, সেটির কোনও অস্তিত্ব নেই। অথচ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে তাদের আর্থিক লেনদেন দেখানো হয়েছে। তা দেখেই ইডির সন্দেহ হয়। দেখা যায়, যে সব কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা দেখানো হয়েছে, সেগুলি আসলে কাগুজে। এর মাধ্যমে টাকা অন্যত্র সরানো হয়েছে। বেশ কিছু টাকা বিদেশেও পাচার হয়ে গিয়েছে। এরপর এই সমস্ত কোম্পানির নামে কোথায় কী কেনা হয়েছে, তার খোঁজখবর শুরু হয়। জানা যায়, প্রতারণার টাকায় কেনা হয়েছে একটি শপিং মলও। এছাড়াও আরও একাধিক জায়গায় জমি-জায়গা কেনা হয়েছে। এগুলি চিহ্নিত করা হয়। এর কাগজপত্র জোগাড় করেন ইডির আধিকারিকরা। এরপর এই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার পরিমাণ ৪৮৩ কোটি টাকা বলে জানা যাচ্ছে। অনেকদিন আগেই এগুলি ‘ব্লক’ করা হয়। মঙ্গলবার অ্যাটাচমেন্টের কাজ শেষ হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ব্যাঙ্ক প্রতারণায় যুক্ত এই সংস্থার আরও একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। যা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এমনকী বেশ কিছু সম্পত্তি বেনামেও কেনা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এগুলি নিয়ে চলছে কাগজপত্র জোগাড়ের কাজ।