রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা সইফের

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন সইফ আলি খান। ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি হারাতে পারেন নবাব-পুত্র।  
ভোপালে নবাব পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন অভিনেতা। 

১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা সইফের

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন সইফ আলি খান। ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি হারাতে পারেন নবাব-পুত্র।  
ভোপালে নবাব পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সদ্য সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় ত্রিবেদীর বেঞ্চ। পাশাপাশি ২০০০ সালে নিম্ন আদালতের রায়ও খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। সেই রায়ে সইফ, তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুর, বোন সোহা ও সাবাকে নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। 
২০০০ সালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন নবাব হামিদুল্লাহ খানের অন্যান্য উত্তরাধিকাররা। তাঁদের দাবি, ১৯৬০ সালে নবাবের মৃত্যুর পর শরিয়ত আইন অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগ হওয়া উচিত ছিল। তবে তা হয়নি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ওই মামলার শুনানি ফের নতুন করে শুরু করতে হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে বলেও জানিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। 
এদিকে, ২০১৪ সালে কেন্দ্রের এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্টের আওতায় ভোপালের নবাব পরিবারের প্রায় ১৫ কোটির সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সইফের শৈশবের বাড়ি ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউজ, নূর-উস-সাবাহ প্যালেস, দার-উস-সালাম, আমেদাবাদ প্যালেস, হাবিবি বাংলো, কোহে-ফিজা প্রপার্টি রয়েছে এই তালিকায়। সইফ ২০১৫ সালে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান। সেই সময় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। 
১৯৬৮ সালের এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্ট অনুযায়ী, দেশভাগের সময় পাকিস্তানে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ভারতে কোনও সম্পত্তি থাকলে, সেগুলি অধিগ্রহণ করতে পারে সরকার। ইতিহাস বলছে, নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন কন্যা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আবিদা সুলতানা বিয়ে করে পাকিস্তানে চলে যান। সইফ হলেন নবাবের আরও এক কন্যা সাজিদা সুলতানার নাতি। সরকারের দাবি, নবাব হামিদুল্লাহর এক কন্যা পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। সেই কারণে এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্ট অনুযায়ী সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে পারে সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশে এই সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ফের শুরু হবে নিম্ন আদালতে। 

রাশিফল