হামাসের ছকে পাক হামলা! দিল্লিকে সতর্ক করল মোসাদ
বর্তমান যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে প্যালেস্তাইনের ‘সন্ত্রাস গোষ্ঠী’ হামাসের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কসূত্র আচমকা প্রকট। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ভারতের বিভিন্ন শহরে পাকিস্তানের আচমকা ড্রোন হামলায় হামাস স্টাইলেরই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ১০, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বর্তমান যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে প্যালেস্তাইনের ‘সন্ত্রাস গোষ্ঠী’ হামাসের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কসূত্র আচমকা প্রকট। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ভারতের বিভিন্ন শহরে পাকিস্তানের আচমকা ড্রোন হামলায় হামাস স্টাইলেরই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কেন? ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একের পর এক পাকিস্তানি ড্রোন ধ্বংস করেছে এবং তার ভগ্নাংশ পরীক্ষা করে বিস্মিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দেখছেন, বহু ড্রোনে সাধারণ বিস্ফোরক ভরে নিক্ষেপ করা হয়েছে। অর্থাৎ সামরিক পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে চিপ বম্ব। বড়সড় ধ্বংসের ক্ষমতাই নেই। বুধবার রাতে ভারতের ১৫টি শহর এবং বৃহস্পতিবার জম্মু থেকে পাঠানকোট, উধমপুর কিংবা ভুজের ড্রোন হামলার গতিপ্রকৃতির সঙ্গে কীসের মিল? চরম সাদৃশ্য গাজা স্ট্রিপ অথবা লেবানন থেকে ইজরায়েলের দিকে উড়ে আসা ড্রোন কিংবা সস্তা মিসাইলের। ভারতের গুপ্তচর ও সিকিওরিটি এজেন্সি কিন্তু একই ইনপুট পেয়েছে ইজরায়েলের মোসাদ ও আইডিএফ থেকে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধিদের বৈঠকের কথা। সেই বৈঠকের কারণ কী? এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মোসাদের থেকে জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে ন্যাটোর পাঠানো বিপুল অস্ত্রশস্ত্রের একাংশ হাতিয়ে পাকিস্তানের জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং লস্করের ফেসিলিটি সেন্টারে বেশ কিছু বছর ধরে জমা করেছে হামাস। প্যালেস্তাইনে সব অস্ত্র নিয়ে গেলে যে কোনও সময় মোসাদের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইজরায়েলের নিরন্তর নিক্ষিপ্ত মিসাইলে তা ধ্বংসও হবে। তাই ন্যাটোর অস্ত্রের বেশিরভাগটাই আফগানিস্তান থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে হামাস জমা করেছে পশ্চিম পাঞ্জাবের বাহওয়ালপুর এবং নারওয়ালে। এই দুই স্পটই জয়েশ এবং লস্করের অস্ত্র মজুত কারখানা। হামাস ছাড়া এখানে অস্ত্র জমা হয় খাইবার পাখতুনওয়া এলাকার অস্ত্র সাপ্লাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।
সন্দেহের সূত্রপাত পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পরই। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ৯০ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ জানতে পেরেছে, পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ছিল এম-৪ সিরিজের রাইফেল। একে-৪৭ এবং পিস্তল সাপ্লাই অনেক সহজ এবং সহজলভ্য। কিন্তু এম-৪ সিরিজের রাইফেল প্রধানত মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর কাছে থাকে। সেই রাইফেল এল কীভাবে? এরপরই কাজে আসে ইজরায়েল ও ভারতের ইনটেলিজেন্স শেয়ারিং চুক্তি। জানা যায়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে এসে সলিডারিটি দিবসে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ কাদুমি ভাষণ দিয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের প্রত্যাঘাতে সন্ত্রাস-রাজধানী ধ্বংস তো হয়েছেই, পাশাপাশি হামাসেরও সম্ভবত বড় ক্ষতি হয়েছে। অর্থাৎ এম-৪ সিরিজের স্নাইপার রাইফেল, নাইট ভিশন ডিভাইস, এনভিডি অ্যাটাচড রাইফেলও মজুত ছিল ওইসব সেন্টারে! অতএব আসরে হামাস আছেই। একা পাক সেনার প্ল্যান যথেষ্ট নয়। ভারতের বিরুদ্ধে তাই হামাসের পরামর্শ নিচ্ছে আইএসআই। তাই এখন জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান যে নিছক ভারতের বিভিন্ন শহরে ড্রোন হামলা করে বড় ক্ষতি করতে চেয়েছে, তা নয়। তার থেকেও বড় চক্রান্ত রয়েছে। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সারফেস টু এয়ার মিসাইল (স্যাম) কীভাবে কাজ করে এবং কত দ্রুত অ্যাকটিভ হয়, সেটাও পরীক্ষা করেছে পাকিস্তান। যা হামাসও করে থাকে। আন্তর্জাতিক অস্ত্র চক্রে ৮ বছর আগে তৈরি হওয়া অক্ষে আছে জয়েশ, হামাস ও খালিস্তান টাইগার ফোর্স। তাদের টার্গেট কে-টু। কাশ্মীর ও খালিস্তান!
related_post
অমৃত কথা
-
অর্জুন
- post_by বর্তমান
- মে 15, 2025
এখনকার দর
-
নিফটি ব্যাঙ্ক (১৪/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 14, 2025
-
নিফটি ৫০ (১৪/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 14, 2025
-
রূপোর দাম (১৫/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 15, 2025
-
সোনার দাম (১৫/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 15, 2025
-
ডলার (১৫/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 15, 2025
-
পাউন্ড (১৫/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 15, 2025
-
ইউরো (১৫/০৫/২৫)
- post_by Admin
- মে 15, 2025