রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

রাজ্যের ২৮টি পুরসভায় অনলাইনে সম্পত্তি কর মেটানোর সুযোগ অধরা

ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা এলাকায় অনলাইনে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে পুর ও নগরন্নোয়ন দপ্তর। ফলে নাগরিকরা বাড়িতে বসেই সম্পত্তি কর মিটিয়ে দেওয়ার সুবিধা পেয়েছেন।

রাজ্যের ২৮টি পুরসভায় অনলাইনে সম্পত্তি কর মেটানোর সুযোগ অধরা

প্রীতেশ বসু, কলকাতা: ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা এলাকায় অনলাইনে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে পুর ও নগরন্নোয়ন দপ্তর। ফলে নাগরিকরা বাড়িতে বসেই সম্পত্তি কর মিটিয়ে দেওয়ার সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু রাজ্যস্তর থেকে সমস্ত ‘সিস্টেম’ প্রস্তুত করে দেওয়া হলেও এই অনলাইন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ২৮টি পুরসভার বাসিন্দা। এই পরিষেবার জন্য পুরসভাগুলিকে ব্যাঙ্ক বা নির্দিষ্ট আর্থিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ চালু করতে হয়। এই পদ্ধতি অনলাইনে নিরাপদ আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করে। ২৮টি পুরসভার ক্ষেত্রে এই ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ চালু না হওয়াতেই অনলাইনে সম্পত্তি কর মেটানোর সুযোগ থেকে নাগরিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এই ঘটনা কাজে চূড়ান্ত গাফিলতির পরিচায়ক বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। ক্ষুব্ধ রাজ্য প্রশাসন চিঠি পাঠিয়ে এক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেবে বলে জানা গিয়েছে। 
সূত্রের খবর, ১২৮টি পুরসভার মধ্যে প্রায় ১০৫টি পুরসভায় অনলাইনে সম্পত্তি কর পরিষেবা চালুর জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছে দপ্তর। তার মধ্যেই ২৮টি পুরসভায় ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’র ব্যবস্থা হয়নি। ২৮টি পুরসভার তালিকায় রয়েছে দমদম, বীরনগর, পুরাতন মালদহ, রায়গঞ্জ, ভদ্রেশ্বর, তাম্রলিপ্ত, গোবরডাঙা, ধুলিয়ান, শিলিগুড়ি, টাকি, মাল, ইংলিশবাজার, ঝালদা, রঘুনাথপুর, আরামবাগ, তারকেশ্বর, নলহাটি, হরিণঘাটা, সোনামুখী, মুর্শিদাবাদ, বৈদ্যবাটি, বিষ্ণুপুর, কালিম্পং, বারাসাত, হুগলি-চুঁচুড়া এবং খড়ার। রাজ্যের হিসাব অনুযায়ী, এই পুরসভাগুলির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ লক্ষ ১৬ হাজারের বেশি। বাড়ির সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮০০’র কিছু বেশি। প্রশাসনিক মহল সূত্রে খবর, রাজ্যের পুর এলাকায় এক বছরে সম্পত্তি কর বাবদ রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা। বাসিন্দাদের উপর বাড়তি বোঝা না চাপাতে সম্পত্তি কর বৃদ্ধির পথে হাঁটেনি নবান্ন। তবে সঠিক সময় সমস্ত সম্পত্তি কর জমা পড়লে করের হার না বাড়িয়েও রাজস্ব বৃদ্ধি সম্ভব। অনলাইন ব্যবস্থা মানুষের মধ্যে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার উৎসাহ বাড়াবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যচ্ছে, একাধিকবার পুরদপ্তরের তরফে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ২৮টি পুরসভা এই ব্যবস্থা চালুই করেনি। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, বাড়তি দায়িত্ব এড়াতেই ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ সংযুক্তিকরণে উৎসাহ দেখাননি সংশ্লিষ্ট পুরসভার আধিকারিকরা। নবান্নের এক আধিকারিকের কথায়, ‘ছোট ছোট পুরসভাগুলির এমন আচরণ তাও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু বারাসত, দমদম, শিলিগুড়ি, ইংলিশবাজারের মতো পুরসভাগুলি এত সাধারণ একটি কাজ করেনি, এটা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়।’  

রাশিফল