শনিবার, 19 এপ্রিল 2025
Logo
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মুখ থুবড়ে মোদির সাধের পিএম-শ্রী প্রকল্প? শিক্ষামন্ত্রকের তথ্যে জল্পনা

কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের পিএম-শ্রী স্কুল প্রকল্প? শিক্ষামন্ত্রকের সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানের পর এমনই প্রশ্ন উঠছে।

মুখ থুবড়ে মোদির সাধের পিএম-শ্রী প্রকল্প? শিক্ষামন্ত্রকের তথ্যে জল্পনা

দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের পিএম-শ্রী স্কুল প্রকল্প? শিক্ষামন্ত্রকের সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানের পর এমনই প্রশ্ন উঠছে। ২০২৩ সালে ৫ হাজার ১৫০টি থেকে ২০২৪ সালে মাত্র সাড়ে চার হাজারের কিছু বেশি। বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি বিদ্যালয়কে পিএম-শ্রী স্কুলে উন্নীত করার ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত এক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও কিছু নেই। রাজ্যসভায় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরীর পেশ করা তথ্যেই এমন প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে সারা দেশের ৫ হাজার ১৫০টি রাজ্য সরকারি বিদ্যালয়কে পিএম-শ্রী স্কুলে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালে সংখ্যাটি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৬৭টি। এবং ২০২৫ সালে এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত দেড় হাজারও ছোঁয়নি। দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৮০টি রাজ্য সরকারি স্কুলে। প্রসঙ্গত, দেশের তিনটি রাজ্য এখনও পিএম-শ্রী স্কুল প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রকের ‘ডিপার্টমেন্ট অব স্কুল এডুকেশন অ্যান্ড লিটারেসি’র সঙ্গে ‘মউ’ স্বাক্ষর করেনি। ওই তিনটি রাজ্য হল কেরল, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গ। ফলে ওই তিনটি রাজ্যকে বাদ রেখেই উল্লিখিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে শিক্ষামন্ত্রক। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত অসম, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে একটিও রাজ্য সরকারি বিদ্যালয় পিএম-শ্রী স্কুলে উন্নীত হয়নি। চলতি বছরে উত্তরপ্রদেশে ছ’টি, উত্তরাখণ্ডে একটি, ত্রিপুরায় দু’টি, হরিয়ানায় ন’টি রাজ্য সরকারি স্কুল পিএম-শ্রী’য়ে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। 
পিএম-শ্রী স্কুলে উন্নীত হতে কেন্দ্রীয় সরকার ১০টি মাপকাঠি তৈরি করে দিয়েছে। এই মাপকাঠির উপর ভিত্তি করেই রাজ্য সরকারি বিদ্যালয়গুলিকে বাছাই করা হয়। যেমন, বিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব পাকা ভবন থাকতে হবে। তা ভাঙাচোরা হওয়া চলবে না। স্কুলের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ হতে হবে। ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য অন্তত একটি করে পৃথক শৌচালয় থাকতে হবে। পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত থাকতে হবে ইত্যাদি।