সভ্যতার আদি যুগ থেকেই পূর্বসূরিদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন। হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো ও সিন্ধু সভ্যতা, মিশরের পিরাপিড, মমি, মেক্সিকোর মায়া সভ্যতার মতো আশ্চর্য বিষয়গুলির প্রতি আগ্রহ জন্মায় ইতিহাস পড়তে পড়তেই।
শৌণক সুর: রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে দূষণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নষ্ট হচ্ছে মাটির উর্বরতা। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এই আওতায় পড়ছে পৃথিবীতে বসবাসকারী সমস্ত জীবকূল। স্বাভাবিকভাবেই বিপজ্জনক এই তালিকায় রয়েছে সমগ্র মানবজাতিও।
শৌণক সুর: দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার তলানিতে ঠেকেছে। অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই নির্দেশ করছে আগামী দিনে ত্রৈমাসিক জিডিপির হার আরও কমতে চলেছে। চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশে। যা গত ৬ বছরে সর্বনিম্ন।
ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিষয়ে জোর দেওয়া হয় খাদ্যের উপাদান-এর উপর। এছাড়া খাদ্যগুলি কীভাবে উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা যায়, সেই সম্পর্কেও পড়াশোনা করতে হয়। মোট কথা, ফুড বা খাদ্যবস্তু নিয়েই মূল আলোচনা হয় ‘ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন’ বিষয়ে।
কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
লক্ষ্মীর কৃপা পেতে গেলে সরস্বতীর আশীর্বাদ পেতেই হবে। অন্তত আজকের ‘নলেজ বেসড’ বা জ্ঞান-নির্ভর দুনিয়াতে তো বটেই। কলকাতার এক হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথাটিই বিশদে ব্যাখ্যা করলেন ও পি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি (জেজিইউ)-এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক সি রাজকুমার। বললেন, বিশ্বমানের শিক্ষা জ্ঞান-অর্থনীতির সৃষ্টি করে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব দেশ শিক্ষাখাতে জিডিপি বরাদ্দ বাড়িয়েছে, সেখানে শুধু নিরক্ষরতাই কমেনি, পাশাপাশি তার প্রভাবে মজুরি বেড়েছে, আয় বেড়েছে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যও কমেছে।
প্রফেসর রাজকুমার বললেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যার মধ্যে ৮৫ কোটির বয়স ৩৫ বছরের কম। এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারলে সমাজ, অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বেই। এজন্য চাই বৃত্তিগত শিক্ষার প্রসার এবং সেই লক্ষ্যে বিনিয়োগ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিষয়টি অবহেলিত থেকে গিয়েছে। তাই শিক্ষায় আরও অনেক বেশি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ চাই।
আমাদের তক্ষশীলা, নালন্দার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু এখন বিশ্বের সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনও ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। অথচ চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, এমনকী তাইপেই, হংকং থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে এই ১০০-র তালিকায়।
এই অবস্থার পরিবর্তনে, দেশে শিক্ষার উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে ১০ দফা পরিকল্পনা পেশ করলেন তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, লাভজনক ব্যবসার মতো করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা না করা, শিক্ষাক্ষেত্রে স্বশাসন এবং তাতে কোনওরকম হস্তক্ষেপ না করা ইত্যাদি।
জেজিইউ স্কুল অব জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন-এর ডিন অধ্যাপক টম গোল্ডস্টেইন বললেন, আমি বেশ কয়েকটি সেরা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা এবং কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, শুধু আমেরিকাতেই নয়, সারা বিশ্বেই জ্ঞানত অর্থনীতি বিকাশের ক্ষেত্রে এই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিশেষ অবদান রয়েছে। তারা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলেছে যা নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবনা এবং উদ্যোগপতি বিকাশে সহায়ক। এই কাজে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশ্বের সেরা মেধাকে টেনে এনেছে। বহু ভারতীয়কেও একাজে লাগিয়েছে তারা। দুর্ভাগ্য এই যে, তবুও বিশ্বের সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় কোনও ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নেই।
সাংবাদিক সম্মেলনে ২০২০ সাল থেকে জেজিইউতে যেসব নতুন পাঠ্যক্রম চালু করা হবে, তার তালিকাও তুলে ধরা হয়। নতুন সেই পাঠ্যক্রমগুলি হল, বিএ (অনার্স) রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বিএ (অনার্স) সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিসি, বিএ (অনার্স) লিগাল স্টাডিজ, এমএ অর্থনীতি।
