Bartaman Patrika
শিক্ষা-কেরিয়ার
 

শিক্ষার আরও অনেক বেশি বাস্তবায়ন দরকার 

কেরিয়ার চয়েস নিয়ে নিজের বক্তব্য জানাতে গিয়ে এমনই অভিমত পোষণ করলেন স্বামী বিবেকানন্দ গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশন-এর ডিরেক্টর ডঃ নন্দন গুপ্ত।

 এখন লেখাপড়ার জগতে স্পটতই দুটি ভাগ দেখতে পাই। একদিকে যেমন আছে কিছু মানুষ যাঁরা ছাত্র-ছাত্রীর চয়েস বেসিক এডুকেশনে জোর দিচ্ছেন, যেটা নিয়ে পড়তে ভালো লাগবে সেটাই বেছে নেওয়া উচিত। অন্য পক্ষ বলছে যেটায় কেরিয়ার প্রসপেক্ট ভালো সেটা নিয়ে পড়লে চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকা সম্ভব। আপনি কোন ধারণায় বিশ্বাসী?
 আমার হাতে যদি স্বাধীনতা থাকত তাহলে আমি বলতাম দুটোই দরকার। একটা ‘এডুকেশন ফর লাইফ’ আর একটা ‘এডুকেশন ফর লাইফলিহুড’। যার যে বিষয় প্যাশন আছে, সেটা নিয়ে যেমন তার এগনো দরকার। ঠিক সেভাবেই নিজের এবং পরিবারের জন্য টাকা রোজগারটাও চাই। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সিলেবাসে দুটো দিক থাকা জরুরি একটা মেজর দিক আর একটা মাইনর দিক। মেজরের মধ্যে থাকবে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল সায়েন্স, নার্সিং, ম্যাথমেটিক্স ইত্যাদি। মানে যে বিষয় চাকরি আছে। আর অন্যদিকে কেউ হয়তো আঁকতে ভালোবাসে সে পাশাপাশি সেই ভালোলাগার কাজটাও করুক। নয়তো শুধু জীবনধারণের জন্য পড়ে এবং সে বিষয় চাকরি করে একদিন সে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। চল্লিশের পর গিয়ে আর চাকরি করতে ভালো লাগবে না, ডিপ্রেসড লাগবে। তাই আমার মনে হয় প্যাশন এবং জীবনধারণ এ দুটিকে আলাদা আলাদা ভাবে চর্চা করলে দুটোই থাকবে।
 মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিককে বলা হয় কেরিয়ার নির্বাচনের প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপ, যেখানে সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া এবং বিষয় নির্বাচন দরকার। কিন্তু একজন পড়ুয়ার মন তখনও পরিণত হয়ে ওঠে না, তাই তারা মূলত মা-বাবা কিংবা শিক্ষকের নির্বাচন করে দেওয়া বিষয় নিয়েই পড়তে শুরু করে, যা ভবিষ্যতে তাদের কেরিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে। এমতাবস্থায় একজন ছাত্র-ছাত্রীর কী করা উচিত বলে আপনার মনে হয়?
 প্রথমেই বলব, সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে একটু ফিল্ড রিসার্চ করতে হবে। অর্থাৎ তার পাড়া কিংবা অঞ্চলের পরিচিত কিছু দাদা দিদির (২৫-৪০ বছর বয়সি) সঙ্গে কথা বলে তাদের জানতে হবে যারা আর্টস নিয়ে পড়েছে তারা কেমন আছে আবার একইভাবে যারা সায়েন্স নিয়ে পড়েছে তারা কেমন আছে। ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং এসব নিয়ে পড়ে ভবিষ্যতে তাদের কেরিয়ার গ্রাফ কোথায় গেছে। কিংবা সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস নিয়ে পড়েই বা তারা কেমন আছে, এই সবটা জানতে হবে একজন ছাত্রকেই। যেভাবে আমরা একটা মোবাইল কেনার আগে দুদিন রিসার্চ করে নিই কোন মোবাইলটা কেনা ভালো কোনটা কিনলে বেশিদিন ব্যবহার করা যাবে না, ঠিক সেভাবে এক্ষেত্রেও আমাদের এক সপ্তাহ সময় দিতে হবে নিজেদের কেরিয়ার বেছে নেওয়ার জন্য। যে কাজটা আমাদের দাদা বা কাকারা করছেন তারা কীভাবে কাজটা করছেন তার জন্য স্কিল কী লাগছে, এসব জানতে হবে। সেটা ভবিষ্যতে সেই ছাত্র বা ছাত্রীর পক্ষে করা সম্ভব কিনা সেটাও তাকে ভেবে নিতে হবে। এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করেও তারা জানতে পারে কুড়ি বছর পর বিভিন্ন সাবজেক্টগুলির অবস্থা কোন জায়গায় থাকবে? কোথায় চাকরি থাকবে আর কোথায় থাকবে না, সেটা জেনে বিষয় বাছাই করলে আরও ভালো ভাবে সে এগতে পারবে।
 কিন্তু যারা গ্রামের দিকে থাকে? যাদের হয়তো ইন্টারনেট বা অন্য কোনও সূত্রে খবর পাওয়া সম্ভব না, তারা কী করবে?
 এখন মোটামুটি সব জায়গাতে ইন্টারনেট পরিষেবা আছে যদি সেটা না থাকে তাহলে তারা কিছুদিনের জন্য কলকাতা বা মফস্‌স঩লের পলিটেকনিক, ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা মেন স্ট্রিম কলেজগুলোয় যেতে পারে। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পারে যেসব দাদা দিদিরা পড়ছে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন, কেরিয়ার প্রস্পেক্ট কেমন। এটা তো জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সিদ্ধান্ত, তাই আমার মনে হয়, এর জন্য একটু সময় দেওয়া উচিত। খুব ভালো হয় যদি কোনও জায়গায় একটা ছোট ইন্টার্নশিপ করা যায়। ইন্টারনেটে সার্চ করলে ইন্টার্নশালা বলে একটি উইন্ডো পাওয়া যাবে, সেখানে নানা ধরনের ইন্টার্নশিপের খবর পাওয়া সম্ভব। এর সাহায্যে শুধু অন্যের মুখে শুনে না, নিজেরা সেখানে কাজ করে বুঝে নিতে পারবে সেই কেরিয়ারপাথে তাদের এগনো সম্ভব কিনা। আর অবিভাবকের গুরুত্ব এখানে অনেকটা। যদিও বাবা-মা প্রথমের দিকে কিছুটা হলেও ভয়ে থাকেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা নিজেরা ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং বা সেরকম কোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত নন, কিন্তু সেই ভয়টা কাটিয়ে বাবা-মা কেও ছেলে-মেয়ের কেরিয়ার নিয়ে ভেবে একটু শিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে। তাদেরকেও তথ্য জোগাড় করতে হবে এবং প্রয়োজনে ছেলে মেয়েকে সাহায্য করতে হবে।
 এবার সাবজেক্ট স্পেসিফিক প্রশ্ন করব। এই যে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স কিংবা কারিগরী শিক্ষা— এই প্রচলিত শিক্ষার বাইরে যে রাস্তাগুলি এখনও অপ্রচলিত, খুব কম ছাত্র বা ছাত্রী জানে কিন্তু চাকরির সুযোগ আছে, সেগুলি কী?
 দেখুন, এখন বেশ কিছু নতুন প্রস্পেক্ট খুলেছে যেটা হয়তো সেভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বলা হয় সেভাবে চাকরি নেই, কিন্তু সে তথ্য ঠিক নয়। সঠিক তথ্য থাকলে দেখা যাবে আমাদের দেশে সবথেকে বড় ক্ষেত্র কৃষি। যেখানে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার সবথেকে কম। পরবর্তী পাঁচ বছরে সেখানে আরও উন্নতি ঘটানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যাকে মানে ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তিকে কৃষির সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে সেটা কেরিয়ার চয়েস হিসেবে খুব ভালো হবে। শহর থেকে গ্রামে এখনও ইঞ্জিনিয়ারিং পৌঁছয়নি। সেই জায়গাটা তৈরি করতে হবে। ডিজিটালি গ্রামের মানুষকে উন্নত করা ই-ট্রেডিং বা ই-কমার্স চালু করা যেতে পারে। এখানে মার্কেটিংয়ের ছাত্র বা ছাত্রীদেরও বেশ ভালো সুযোগ থাকছে। আবার যারা আর্টসে যেতে চায় তাদের জন্য শিক্ষকতা, ব্লগ লেখা কিংবা মিডিয়ায় সুযোগ আছে। আবার অন্যরকম ভাবে ভাবলে এসএমই বা স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা নানা ক্ষেত্রে হতে পারে। চীনের অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়ার মূল কারণ কিন্তু এই এসএমই। নিজেরা যদি ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে, তাহলে একাধারে যেমন ব্যবসার নানাক্ষেত্র তৈরি হবে, তেমন আবার সেই ব্যবসায় নিয়োগের জন্য লোক লাগবে ফলে সেখানেও চাকরির জায়গা তৈরি হবে।
 যারা একেবারেই মেন স্ট্রিম এডুকেশন বেছে নিতে চায়, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কতটা?
 একটি কেরিয়ারপাথ-এ একবার প্রবেশ করে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে। যেটা আগেও বললাম। মেইন স্ট্রিম এডুকেশন অবশ্যই ভালো। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগে দেখতে হবে, দু-তিন বছর বাদে সেভাবে কোনও শিক্ষকতার জায়গা খুলবে কিনা। বা অন্য কোনও জায়গায় চাকরি আছে কিনা। তাহলে যে বিষয় নিয়েই পড়ুক, তাদের কাছে সেই লাইনে এগনোটা অনেক সুবিধার হবে। স্টেপ বাই স্টেপ এগলে প্ল্যান করা সুবিধা। বিশেষ করে পরবর্তী দশ বছরের মধ্যে নির্দিষ্ট বিষয় কতটা সুযোগ আছে, সেটা নিয়ে রিসার্চ করে এগনো ভালো।
তাতে ছাত্র ছাত্রীর মনে হতাশা আসবে না। বরং লক্ষ্য স্থির রেখে এগনো সম্ভব হবে। তবে আবারও বলব সায়েন্স বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে সরাসরি চাকরি পাওয়ার চান্স কিছুটা হলেও বেশি থাকে এবং সেখানে দরকারে টিউশন পড়িয়ে রোজগার করার সম্ভাবনা বেশি।
 সরকারি চাকরি করার স্বপ্ন অনেক ছাত্র ছাত্রী দেখে থাকে, কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না কারণ সরকারি চাকরির পরিমাণ খুব কম, এখনও কী সেরকম কোনও জায়গা আছে, সরকারি চাকরিতে যেখানে যে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী প্রবেশিকা দিতে পারে?
 সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি, অঙ্ক, অ্যাপ্টিটিউড এবং জেনারেল নলেজ-এ জ্ঞান থাকা খুব জরুরি। সেটা যে কোনও রকম সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই দরকারি। এক্ষেত্রেও সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডে সাফল্যের পরিমাণ বেশি। সেখানে চাকরি পেলেও দরকার সায়েন্সের নলেজ। তাছাড়া সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বলব গ্রুপ ডি এবং সি-লেভেলের সবটাই আউট সোর্সিং হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে লোকের সরকারি চাকরি করতে চাইত, কাজের নিরাপত্তা এবং বেতন তার কোনওটাই সেরকম মন মতো আর থাকছে না।
 এখন বলা হয় পথে ঘাটে ইঞ্জিনিয়ার। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাকরির সুযোগ আর সেরকম নেই বললেই চলে। এটা কতটা সত্যি?
 চাকরির সুযোগ নেই তা নয়। চাকরি হচ্ছে কিন্তু সেই লেভেলের বেতন পাচ্ছে না। প্রথম সারির অনেক ছাত্র ছাত্রী বার্ষিক চার-পাঁচ লক্ষ টাকার স্যালারি স্কেলে কাজ করছে। কিন্তু তার পরের দিকের ছাত্র ছাত্রীরা সেভাবে ভালো চাকরি পাচ্ছে না। এখানে আরও একটা বিষয় ভাবার আছে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত জয়েন্টে র‍্যাঙ্ক করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারত দু হাজার থেকে তিন হাজার পড়ুয়া। এখন তা বেড়ে হয়েছে তিরিশ হাজার। কিন্তু এত স্কোপ তো বাড়েনি যে সবাই চাকরি পেয়ে যাবে। তাও রিসার্চ করলে দেখা যাবে ৩৫% ভালো চাকরি পাচ্ছে, তারপরের ২৫% মধ্যম মানের চাকরি পাচ্ছে। বাকিরা ব্যবসা কিংবা অন্যরকম কোনও চাকরিতে যাচ্ছে।
 ‘সার্ভাইভাল ওয়ে আউট’ সেভাবে দেখলে আছে অনেক, কিন্তু সবার পক্ষে কী সেই টাকাটা খরচ করা সম্ভব?
 কেউ যদি এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় তাহলে প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে সে পড়তে পারে। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ আছে ৮৫ শতাংশের বেশি নম্বর পাওয়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের পড়ার জন্য সরকার থেকে নানা প্রকার স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। মেয়েদের জন্য আলাদা স্কলারশিপ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই কারুর যদি সত্যি পড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে সরকারি সাহায্যে এবং টিউশন পড়িয়েও সে লেখাপড়া চালাতে পারে।
 অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় একটি বিষয় নিয়ে পড়তে আরম্ভ করলেও পরে সেই বিষয়টা খারাপ লাগায় সে অন্য পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। এটা কতটা গ্রহণযোগ্য?
 আমাদের শিক্ষার প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন দরকার বলে আমি মনে করি। আমাদের সরকারের তরফে রিসার্চ করে তথ্য জানানো উচিত ছাত্র ছাত্রীদের যে কোথায় কত চাকরির সুযোগ আছে। তাহলে বিষয় বাছাই করতে ছাত্র-ছাত্রীর সুবিধা হবে। যেমন না রিসার্চ করেই বলে দেওয়া যায় নার্সিংয়ে একশো শতাংশ চাকরি আছে। মেডিক্যাল সেক্টরে চাকরির অভাব নেই। কেউ যদি এই লাইনে থাকে তাহলে তাকে ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে হবে না। ঠিক সেভাবে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কিংবা টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে পড়ে খুব একটা কাউকে সিফট করতে হয়নি। কিন্তু এই রিসার্চটা সরকারের তরফ থেকে শুরু করা উচিত এবং ছাত্র ছাত্রীকে বর্তমান চাকরির বাজার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা উচিত। এছাড়া চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম করা যেতে পারে। যেখানে যে কোনো বিষয় নিয়ে পড়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়া যায়। বিষয় সেখানে একাধিক থাকতে পারে। অথবা সায়েন্স থেকে আর্টস কিংবা আর্টস থেকে সায়েন্সে যাওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হয়। এটা বিদেশে থাকলেও ভারতে এখনও সেভাবে নেই।
 সম্প্রতি কথা উঠছে শিক্ষায় প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ের যে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে, তাতে ক্ষতি হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীর – এ বিষয় আপনার কী মত।
 এখানে আমার মনে হয় শুধু অভিভাবকের নয় সরকারেরও কিছুটা ভুল আছে। আমাদের এখানে যে শিক্ষা ব্যবস্থা তা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবসম্মত নয়। কারণ এখানে মাধ্যমিক পর্যন্ত থিওরির ওপর জোর দেওয়া হয় যা অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের আনন্দ দেয় না।
বাঁদর তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে কতটা উঠল কিংবা নামল বা পাতকুয়োর তিনটে নলের মধ্যে দিয়ে জল কীভাবে ঢুকছে বেরোচ্ছে, সেই শিক্ষা তাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগে না। ফলে তারা সেই শিক্ষার সঙ্গে নিজেদের একাত্মবোধ করতে পারে না। গ্রামের ছেলেদের আজ যদি কৃষি বিদ্যা নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়, সেটা তাদের অনেক বেশি কাজে লাগবে। তারা বাবাকে কী সার ব্যবহার করা যায় সেই নিয়ে যেমন জানাতে পারবে, তেমন কৃষিতেই আরও ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করার উপায়গুলি খুঁজে পাবে। তাই আমার মনে হয় শিক্ষার আরও অনেক বেশি বাস্তবায়ন দরকার। তাকে আরও আনন্দের, আরও প্রয়োজনের করে তোলা দরকার। তবেই বাচ্চারা সেটাকে আর প্রতিযোগিতা মনে করবে না, শেখার আনন্দেই শিখবে।
সাক্ষাৎকার: কৌশানী মিত্র  
08th  July, 2019
চাকরির বাজারে জনপ্রিয় কয়েকটি
ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের সুলুক সন্ধান

বিভাস মজুমদার: বর্তমানে ভালো চাকরি পেতে গেলে শুধু কোর্স করলেই চলবে না। সেই কোর্স করে ভালো চাকরি পাওয়ার সুযোগ কতটা রয়েছে সেটাও বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স করার আগেই দরকার সেই বিষয়ে কতটা কাজের সুযোগ আছে তা খতিয়ে দেখা। কোন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এখন আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করে চাকরির পাওয়ার সুযোগ অনেকটাই বেশি সেই বিষয়েও কিছুটা আলোকপাত করা হল এই প্রতিবেদনে।
বিশদ

17th  July, 2019
আয়ুর্বেদিক ফার্মাসিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি  

দু’বছরের আয়ুর্বেদিক ফার্মাসিতে ভর্তি হওয়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজি বা ম্যাথামেটিক্স নিয়ে পাশ করতে হবে। বয়স ১৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মেরিট লিস্ট তৈরি হবে মোট নম্বরের ভিত্তিতে। 
বিশদ

15th  July, 2019
আয়ুর্বেদে সার্টিফিকেট কোর্স 

আয়ুর্বেদের এক বছরের সার্টিফিকেট কোর্স অব পঞ্চকর্ম অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ভর্তি হওয়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজি বা ম্যাথামেটিক্স নিয়ে পাশ করতে হবে। বয়স ১৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।  
বিশদ

15th  July, 2019
বিভিন্ন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে ভর্তি নিচ্ছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় 

জেনোমি, ডেটা সায়েন্স, ন্যানোসায়েন্স এবং ন্যানো টেকনোলজিতে এমএসসি কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে কোনও শাখা থেকে স্নাতক স্তরে ডিগ্রি করা থাকলে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে।  
বিশদ

15th  July, 2019
শিক্ষামূলক ভ্রমণ 

জেআইএস গ্রুপের ছাত্রছাত্রীরা ১৫দিনের জন্য ব্যাংককের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছেন। ৩০ জুন তাঁরা রওনা দিয়েছেন। এবার গিয়েছেন ৭৩ জন পড়ুয়া। 
বিশদ

15th  July, 2019
শহরে নতুন ক্রিকেট অ্যাকাডেমি 

সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (এসএনইউ) তরফে এসএনইউ ক্রিকেট অ্যাকাডেমির উদ্বোধন হল সম্প্রতি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তৈরি হওয়া এই ক্রিকেট অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।  
বিশদ

15th  July, 2019
চাকরির বাজারে এগিয়ে
দেয় কারিগরি শিক্ষা
বর্ণালী ঘোষ

একটি দেশের অর্থনৈতিক সাফল্য সেই দেশের মানবসম্পদের অপর একান্তভাবে নির্ভরশীল। আধুনিক সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে মানব সম্পদ যথাযথ ভাবে ব্যাবহারযোগ্য না হলে তার কোনও মুল্য থাকে না। আমাদের দেশের মানবসম্পদের পরিমাণ হয়তো বেশি তবে উৎকৃষ্টতম মানব সম্পদের পরিমাণ নেহাতই কম।  
বিশদ

15th  July, 2019
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয় হিসাবে আকর্ষণীয়
লেদার টেকনোলজি

বর্ণালী ঘোষ: বহু প্রাচীন কাল থেকেই ধীরে ধীরে পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছেছে আজকের লেদার টেকনোলজি। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ চামড়া ব্যবহার করে আসছে। বনে বসবাসকারী মানুষ প্রথম দিকে প্রাণী হত্যা করত শুধুমাত্র খাদ্যের জন্য। পরবর্তী সময়ে মরা প্রাণীর চামড়া দিয়ে জুতো, পরিধান তৈরি শুরু হয় এবং থাকার জন্য তাঁবুর ব্যবহারও ছিল।
বিশদ

10th  July, 2019
নতুন ধরনের বিষয়
রোবটিক্স

রোবটিক্স তুলনামূলকভাবে একেবারে নতুন ধারার ইঞ্জিনিয়ারিং। বিশের শতকের কল্পবিজ্ঞানে উঠে আসে রোবটের নাম। এর উপর পরবর্তী সময়ে রচিত হয়েছে বহু গল্প। তবে এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদেরও বিশেষ উৎসাহ ছিল এবং বর্তমানে রয়েছেও। পঞ্চাশের দশকে কাজের জগতে চলে আসে প্রথম রোবট ইউনিমেট। বিশদ

10th  July, 2019
গ্র্যাজুয়েশনের পর কোন
প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হবেন?

একঝাঁক ছেলেমেয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে সবেমাত্র স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে। কিন্তু স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়িত করবে সেটাই হচ্ছে মূল বিষয়। এখন সাধারণ বিএ, বিকম, বিএসসি পাশ করা ছেলেমেয়েকে সফল কেরিয়ার গড়তে গিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জীবনে সাফল্য পেতে গেলে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বিশদ

10th  July, 2019
আসুন ফ্যাশনের রঙিন দুনিয়ায়, পাশে মাকাউট 

ফ্যাশন— শব্দটি শুনলেই মনে হয় একটি রঙিন, গ্ল্যামারাস জগৎ হাতছানি দিচ্ছে। যেখানে একদিকে সব সুন্দরী মডেল এবং অন্যদিকে জগৎ বিখ্যাত ডিজাইনাররা নতুন নতুন স্বপ্নের দুনিয়া নির্মাণ করে চলেছেন। অনেকেই মনে করেন এই জগৎ সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।  
বিশদ

08th  July, 2019
বৃত্তিমূলক পড়া ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং 

বর্ণালী ঘোষ: প্রতি বছর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রচুর সংখ্যক পরীক্ষার্থী বসছে। এর থেকেই বোঝা যায় কাজের জগতে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদেরও ভালো কদর রয়েছে।
বিশদ

08th  July, 2019
বিদেশে ডাক্তারি পড়ার কর্মশালা 

 বিদেশে ডাক্তারি পড়া নিয়ে বিশেষ কর্মশালা হয়ে গেল শহরে। আয়োজনে কেরিয়ার হাব ইনস্টিটিউট। গত কয়েক বছর ধরে দেশ ও বিদেশে এই ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে।  বিশদ

01st  July, 2019
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু 

 সেন্টার ফর কন্টিনিউইং অ্যান্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশন, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি, ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগে আসার ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।  বিশদ

01st  July, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শনিবার দুপুরে পাঁচলার গাববেড়িয়ায় টোটো ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক শিশুর। তার নাম আমিরুদ্দিন শাহ (৭)। বাড়ি সিদ্ধেশ্বরী সাহাপাড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ওই শিশুটি মায়ের সঙ্গে একটি টোটোয় মাজারে যাচ্ছিল। তখন একটি লরি ওই টোটোয় ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতি ঠেকাতে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ত্রিপল বিলি করছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের বিডিও। পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরে খাবার বিলিতেও বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।  ...

  কটক, ১৯ জুলাই: একুশতম কমনওয়েলথ টেবল টেনিস প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও মহিলা বিভাগে সোনা জিতল ভারতীয় টিটি দল। শুক্রবার কটকে এই প্রতিযোগিতার পুরুষ বিভাগের ফাইনালে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২০: মা সারদার মৃত্যু
১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্ম
১৮৯৯: লেখক বনফুল তথা বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ক্রিকেটার রজার বিনির জন্ম
২০১২: বাংলাদেশের লেখক হুমায়ুন আহমেদের মূত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৯৫ টাকা ৬৯.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৭৭ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
ইউরো ৭৬.১০ টাকা ৭৯.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৯২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৪,৪৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ১০/১৮ দিবা ৯/১৪। শতভিষা অহোরাত্র। সূ উ ৫/৬/৩, অ ৬/১৯/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪০ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬ গতে উদয়াবধি।
৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ৪/২৪/৪ দিবা ৬/৫১/২। শতভিষানক্ষত্র ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৫/৫/২৪, অ ৬/২১/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে, বারবেলা ১/২৩/১৫ গতে ৩/২/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৪/৫৮ মধ্যে ও ৪/৪২/২৩ গতে ৬/২১/৫৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪২/২৩ মধ্যে ও ৩/৪৪/৫৮ গতে ৫/৫/৪১ মধ্যে। 
১৬ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। বৃষ: মাতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত। মিথুন: সম্পত্তি লাভের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২০: মা সারদার মৃত্যু১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ...বিশদ

07:03:20 PM

একুশে জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থলের প্রস্তুতি পর্ব ...বিশদ

05:54:05 PM

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বৈঠক, মিলল না রফাসূত্র

05:05:54 PM

ইন্দোনেশিয়া ওপেন: চেন ইউ ফেইকে হারিয়ে ফাইনালে পি ভি সিন্ধু 

04:32:32 PM

শীলা দীক্ষিত প্রয়াত 
প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত। ...বিশদ

04:12:00 PM