কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
‘মির্জা’ প্রতিশোধ স্পৃহার গল্প। ড্রাগ মাফিয়া সুলতানের (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়) বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে মির্জা (অঙ্কুশ হাজরা) সুলতানের ছেলে আজহারের (শোয়েব কবীর) আস্থা অর্জন করে অপরাধ জগতে অনুপ্রবেশ করে। মাছওয়ালি মুসকানের (ঐন্দ্রিলা সেন) সঙ্গে প্রথম দর্শনে প্রেম হয়। মুসকানের আবার একটা গোপন পরিচয় আছে, যা ক্লাইম্যাক্সে প্রকাশিত হয়। পুলিসকর্তা কৌস্তভের (ঋষি কৌশিক) কোনও বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনার খোঁজ মেলেনি। বস্তুত সমস্ত অ্যাকশন দৃশ্য খরচ করে ফেলা হয়েছে অপরাধ জগতের অন্তর্দ্বন্দ্বে। পুলিস-অপরাধী আকর্ষণীয় ডুয়েল থাকলে মন্দ হতো না। দুর্বল গল্পের গ্রামীণ সড়কে পরিচালক জুটি সুমিত-সাহিল রেসিং কার চালানোর প্রচেষ্টা করেছেন। প্রথম প্রযোজনা হিসেবে অঙ্কুশকে সাধুবাদ।
অভিনয় বিভাগটি সন্তোষজনক। নির্মম গ্যাংস্টারের ক্রূর অভিব্যক্তিতে কৌশিক দুর্দান্ত। অতীতের রোমান্টিক কমেডির চকোলেট বয় থেকে আচমকা হার্ডকোর অ্যাকশন হিরো হয়ে ওঠার প্রয়াসটি অঙ্কুশ সার্থকভাবেই করেছেন। ঐন্দ্রিলার পাওয়ার হাউস পারফরম্যান্স সবচেয়ে অবাক ও মুগ্ধ করেছে। অনিমেষ ঘোড়ুইয়ের সিনেমাটোগ্রাফি ও সংলাপ ভৌমিকের সম্পাদনায় ঝকঝকে পেশাদারিত্বের ছাপ। অনীক ধর ও ঈশান মিত্রের সঙ্গীত মানানসই।
মির্জা ফ্র্যাঞ্চাইজির এই প্রথম পর্বটিতে মির্জাকে তাসের জোকার হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে, যে যেকোনও মুহূর্তে খেলা ঘোরানোর ক্ষমতা রাখে। পরবর্তী পর্বে ‘টাইগার’ রূপে যিশু সেনগুপ্তের অবতীর্ণ হওয়ার কথা। আশা করা যায়, ততদিনে চিত্রনাট্যও জোরালো হয়ে উঠবে।