অভিনেতা ও পরিচালক অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় ছবির শ্যুটিং শুরু হতে চলেছে ইউক্রেনে। ছবির নাম ‘কভেট লেটার’। অনিন্দ্য ‘অ্যান্টিলজিক ফিল্ম’ নামে নতুন একটি ধারার প্রবর্তন করেছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। এই ধারায় তৈরি তাঁর প্রথম দুটি ছবি ‘স্মাগ’ ও ‘ওয়াচমেকার’। সেই ধারা অক্ষুণ্ণ থাকলেও আড়ে ও বহরে এই ছবি আগের দুটি ছবির থেকে অনেকটাই বড়। এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম বিতর্কিত ইস্যু ‘এনআরসি’ অর্থাৎ ‘ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন’ নিয়ে অনিন্দ্য প্রশ্ন তুলবেন এই ছবিতে। ছবির প্রায় আশি শতাংশ শ্যুটিংই হবে ইউক্রেনে। সংলাপ হবে মূলত ইংরেজি ও ইউক্রেনীয় ভাষায়। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র একটি বাঙালি ছেলে, যাকে ভারত সরকার জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে চাইছে। ছেলেটি অসম থেকে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাকে সে দেশে ঢুকতে দিতে নারাজ। ছেলেটির বান্ধবী ইউক্রেনের বাসিন্দা। সে তাকে আশ্রয় দিতে চায়। ছেলেটি ইউক্রেনে পালিয়ে যায়। কিন্তু সে দেশের সরকারও তাকে থাকতে দিতে নারাজ। ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস তাকে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু সঠিক আইনের অভাবে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। এরপর কী ঘটে তা তোলা থাক সিনেমার মুক্তি পর্যন্ত। অনিন্দ্যর বক্তব্য, কোনও রাজনৈতিক দল বা মতবাদের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়ানো নয়, তাঁর ইচ্ছে ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মানুষদের দুঃখ, কষ্ট, তাঁদের মানসিকতাকে পর্দায় তুলে ধরা। ইউক্রেনকে বলা হয় ‘গেটওয়ে অব ইউরোপ’। একটা সময় পর্যন্ত ইউক্রেনে ঢোকা খুবই সহজ ছিল। আর একবার ইউক্রেনে ঢুকতে পারলে ইউরোপ চলে আসত নাগালে। তাই ‘কভেট লেটার’-এর প্রধান পটভূমি হিসেবে অনিন্দ্য ইউক্রেনকেই বেছে নিয়েছেন। এই মাসের মাঝামাঝি থেকে শ্যুটিং শুরু হবে।
ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন অনিন্দ্যই। ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্যও তাঁরই। অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন মমতাজ সরকার ও অনিন্দ্যর মেয়ে ঐশিকা। এছাড়া অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন ইতালি ও ইউক্রেনের একাধিক শিল্পী। রাশিয়ার বিখ্যাত দোভজেঙ্কো ফিল্ম স্টুডিও অনিন্দ্যকে সহযোগিতা করছে।
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী