Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘প্রায় সব ভারতবাসীই গরিব’
পি চিদম্বরম

কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতভাবে, ওটাই নরেন্দ্র মোদির সরকারের মত। এই মতের পক্ষে সমর্থনের স্পষ্টতা রোজ বাড়ছে। সেই স্পষ্টতার সর্বশেষ নিদর্শন পাওয়া গেল তড়িঘড়ি সংবিধান (১২৪তম সংশোধন) বিলের খসড়া তৈরি (৭ জানুয়ারি) এবং তা সংসদে পাশ (৯ জানুয়ারি) হয়ে যাওয়ার মধ্যে।
স্মরণ করুন, ভারতের সংবিধান প্রণয়ন করতে কী দীর্ঘ সময় লেগেছিল। আরও মনে করে দেখুন, ১৯৫১ সালে প্রথম সংবিধান সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত এবং পাশ করাতে কী দীর্ঘ সময় লেগেছিল। প্রথম সংশোধনের মাধ্যমে ‘নাগরিকদের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী বা তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি’র জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থা’র (স্পেশাল প্রভিশন) সূচনা করা হয়েছিল। ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নামক এই বাগধারাটিই ‘সংরক্ষণ’ (রিজার্ভেশন) নামে জনপ্রিয়।  
আতঙ্ক-তাড়িত
১২৪তম সংশোধনীর বিরুদ্ধে সমালোচনাটি এই যে এটা সম্পন্ন হয়ে গেল মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ভিতরে—সংসদীয় কমিটির স্ক্রুটিনি এবং গণবিতর্ক ছাড়াই। অন‌্যদিকে, লোকসভা এবং রাজ‌্য বিধানসভাগুলোর এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন‌্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি ২০০৮ সাল থেকে ফেলে রাখা হয়েছে। দোষগুণ (মেরিট) নির্বিশেষে ১২৪তম সংশোধনী হল একটা আতঙ্কের লক্ষণ যেটা বিজেপি এবং সরকার দুটোকেই কব্জা করে ফেলেছে। আতঙ্ক-তাড়িত আরও কিছু ব‌্যবস্থা গ্রহণের তোড়জোড় চলছে; এগুলোর মধ‌্যে একটা হল কৃষকদের জন‌্য ‘ক‌্যাশ ট্রান্সফার’—যে সম্ভাবনার কথা এই স্থানে বলেছিলাম গত ৭ জানুয়ারি, ২০১৯।
নীতি গৃহীত
এখন বলব বিলের দোষগুণ সম্পর্কে। বিলের ‘উদ্দেশ‌্য ও কারণ বর্ণনা’ অংশে বলা হয়েছে যে, ‘নাগরিকদের মধ‌্যে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীটা বহুলাংশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি চাকরির বাইরে রয়ে গিয়েছে, তার কারণ আর্থিক অক্ষমতার দরুন অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও সুবিধাপ্রাপ্ত (মোর প্রিভিলেজড) মানুষগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তারা এঁটে উঠতে পারছে না।’ এই নেপথ‌্য নীতির বিরোধিতা কোনও দলই করেনি। (২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের ইস্তাহারে অর্থনৈতিক দিক পিছিয়ে-পড়া শ্রেণীর জন‌্য সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস )।
সুতরাং, বিপুল বিরোধিতা করার জায়গা বিলটির নীতি নিয়ে নেই, কিন্তু আছে অন‌্যকিছু কারণে, সেগুলি বিবেচিত হওয়ার যোগ‌্য এবং প্রাসঙ্গিক। তার মধ‌্যে উল্লেখ করতে হয়:
(এক) যদি অর্থনৈতিক থেকে দুর্বল শ্রেণীর জন‌্য সংরক্ষণের বিষয়টি গত চার বছর সাত মাসেও অগ্রাধিকার না-পেয়ে থাকে (যখন তিন তালাক বিলটা ছিল), তবে কেন সেটা লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার মাত্র ৬০ দিন আগে ভীষণ অগ্রাধিকার পেল?
(দুই) ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদের প্রস্তাবিত (৬)(এ) এবং (বি) ধারাটা হল—যে (৪) এবং (৫) ধারা রয়েছে সেটারই ‘কাট অ‌্যান্ড পেস্ট’—একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনসহ। ১৫(৫) অনুচ্ছেদে বিশেষ ব‌্যবস্থার (অর্থাৎ সংরক্ষণ) সংস্থান ‘আইনের দ্বারা’ ( বাই ল) করার প্রয়োজনের কথা বলা রয়েছে, নতুন ধারা থেকে ‘বাই ল’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে এবং সরকারকে এক্সিকিউটিভ অর্ডারের মাধ‌্যমে স্কুল ও কলেজে সংরক্ষণ কার্যকর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
(তিন) ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদের প্রস্তাবিত (৫) ধারাটিও বর্তমান অনুচ্ছেদের (৪) ধারার একটা ‘কাট অ‌্যান্ড পেস্ট’—একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনসহ। ১৬(৪) অনুচ্ছেদ সংরক্ষণ অনুমোদন করেছে কেবলমাত্র নাগরিকদের মধ‌্যে যে-কোনও পিছিয়ে-পড়া শ্রেণীর জন‌্য, চাকরি-বাকরিতে যাদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নেই।
আইনগতভাবে এবং নীতিগতভাবে সন্দেহভাজন
(চার) সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা ঘোষিত আজ মান্য আইন অনুযায়ী, পদের জন‌্য সংরক্ষণ অনুমোদনযোগ‌্য নয় যদিনা শ্রেণীটার পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব না-থাকে; অর্থনৈতিক পশ্চাদপদতার ‘একমাত্র’ বৈশিষ্ট‌্যের ভিত্তিতে সংরক্ষণও অনুমোদনযোগ‌্য নয়। অবশ‌্য, ওই রায়গুলো বর্তমান সংশোধনীর পূর্বে সংবিধান অনুসারে দেওয়া হয়েছিল। সরকারকে অবশ‌্যই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ওই রায়গুলো অতিক্রম করা যাবে যদি সংবিধান সংশোধন করা হয়। বিলের নীতির সমর্থকরা—অবশ্য কোনও লাভ ছাড়া—সরকারের গৃহীত মত দাবি করেছেন, যাতে তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারেন যে কোনও রকম আইনি ঝামেলায় পড়বেন না।
(পাঁচ) গরিব নির্ধারণের বৈশিষ্ট‌্য সংক্রান্ত সমালোচনাটি হল সবচেয়ে বাস্তব। ৮ জানুয়ারি ২০১৯ সমস্ত খবরকাগজে এবং টিভি চ‌্যানেলে একটি অভিন্ন বৈশিষ্ট‌্য প্রকাশ-প্রচার করা হল (অবশ‌্যই সরকারি বিবৃতি অনুসারে)। একটি পরিবারভুক্ত একজন সদস‌্যের মোট বার্ষিক আয় (গ্রস অ‌্যানুয়াল ইনকাম) ৮ লক্ষ টাকা হলে তিনি ‘গরিব’, কিছু ব‌্যতিক্রমসহ। যে তথ‌্যের ভিত্তিতে এই যে ৮ লক্ষ টাকার সীমারেখা সরকার বেঁধে দিল সেই তথ‌্যটা বিরোধীরা দাবি করলেন, কিন্তু সেই তথ‌্য পাওয়া গেল না। পাবলিক ডোমেইনের তথ‌্য অনুসারে বলা যায় যে জনসংখ‌্যা (১২৫ কোটি)-র ৯৫ শতাংশই এই ক্ষেত্রে যোগ‌্য—এবং খুব সামান‌্য অংশই এর বাইরে (আন্ডার দি ‘এক্সক্লুশানস’) বিবেচিত হবে। সংশোধনী অনুসারে যদি প্রায় সকলেই ‘গরিব’ বলে গণ‌্য হয় তবে ‘সবচেয়ে গরিব’রা—এই সংশোধনের উদ্দেশ‌্যটা যাদের জন‌্য—তারাই দুর্বিপাকে পড়ে যাবে! যদি ‘গরিব’-এর সংজ্ঞাটাকে আরও ছোট করে কেবলমাত্র জনসংখ‌্যার একেবারে নীচের দিকের ২০ শতাংশ আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন‌্যই নির্দিষ্ট করে না-দেওয়া হয় তবে এই নতুন ব‌্যবস্থাটি সন্দেহভাজন হয়ে থাকবে—আইনগতভাবে এবং নীতিগতভাবে।
(ছয়)  বড় প্রশ্নচিহ্ন থাকছে জোগানের দিক থেকে। স্কুল এবং কলেজে আরও বেশি সিট মঞ্জুর করা হবে পরিকাঠামোর স্বল্পতা এবং উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবের কথা মাথায় না রেখে। কিন্তু সরকারি পদের বেলা পদ জুটবে কোত্থেকে? সরকারের মতলব কি সমস্ত স্তরে ব‌্যাপকভাবে বিস্তৃত হওয়া—কেন্দ্র, রাজ‌্য, পুরসভা, পঞ্চায়েত, পেরাস্তাটাল এবং পাবলিক সেক্টরে? পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজগুলোতে কর্মী সংখ‌্যা কিন্তু বাস্তবে কমে গিয়েছে—২০১৪ সালের মার্চের শেষে ছিল ১৬,৯০,৭৪১ আর সেটা ২০১৭ সালের মার্চের শেষ দিকে ১৫,২৩,৫৮৬-তে নেমে এসেছে। কেকের সাইজ বাড়ল না, অথচ আর একটা টুকরো সংরক্ষণ করে দেওয়া হল, এরকম হলে সরকারের ধাপ্পাবাজিই ধরা পড়ে যাবে।
বিলটা মনে হয় রিজার্ভেশনের জন‌্য নয় আত্মরক্ষার (সেলফ-প্রিজার্ভেশন) জন‌্য।
14th  January, 2019
নলজাতক কৌরব ও চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়
শুভময় মৈত্র

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে প্রতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভারতে যে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন (ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস) হয় তা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ মানের। ‘সম্পূর্ণ নিম্নমানের’ কথাটা ব্যবহার করা ঠিক হবে না।  
বিশদ

15th  January, 2019
মমতার নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধীদের
লোকসভা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে?
শুভা দত্ত

তিন রাজ্যের ভোটে ভালো ফল করার পর যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস ফের খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। লোকসভার ভিতরে বাইরে তাদের নেতা রাহুল গান্ধীর কথাবার্তা ও শরীরী ভাষাতেও সেটা পরিষ্কার। বিশেষ করে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌যুদ্ধ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তরজায় এখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকেই যেন অপেক্ষাকৃত ধারালো, তরতাজা দেখাচ্ছে!
বিশদ

13th  January, 2019
তিন তালাক বিল অমানবিক ও বৈষম্যমূলক
শামিম আহমেদ

রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন ৯ জানুয়ারি শেষ হল, তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় হল না। বিরোধীরা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় রইল।
বিশদ

12th  January, 2019
মহাকাশ-চর্চায় ভারতকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া
মৃণালকান্তি দাস

 মহাকাশ জয় নিয়ে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্তত একজন ভারতীয় মহাকাশে যাক। আর তার জন্য বন্ধু দেশ রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। বিশদ

11th  January, 2019
মমতার ব্রিগেডে মিলতে পারে
অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ-রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারিতে বামেদের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। বিজেপি ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করলেও, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আটকে পড়ায়, ২৯ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা নতুন করে ভাবছে।
বিশদ

10th  January, 2019
অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন।
বিশদ

08th  January, 2019
রিপোর্ট কার্ডে ‘ফেল’
পি চিদম্বরম

আমি দিল্লি থেকে লিখছি, যেটা পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল মহানগরীর একটা। এখনও শীতকাল। গত সপ্তাহে যে বসন্তের উল্লেখ করেছিলাম তা এখনও কয়েক সপ্তাহ দূরে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের ভোটে সবক’টাতে পরাজয় সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনও সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ, উদ্ধত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাচ্ছিল্যপূর্ণ।
বিশদ

07th  January, 2019
দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে?
শুভা দত্ত

 সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন। সরাসরি অবশ্য প্রস্তাবটা রাখেননি বিমানবাবু, রেখেছিলেন আকারে ইঙ্গিতে, ঘোরানো কথায়। কিন্তু, রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণজন সকলেই তাঁর সেই ঘোরানো-প্যাঁচানো কথার মধ্যেকার আসল বক্তব্যটি ধরে ফেলেছিলেন।
বিশদ

06th  January, 2019
প্রধানমন্ত্রী: আকস্মিক বনাম আত্মঘাতী
শুভময় মৈত্র

 ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইটি এবং তার ওপর ভিত্তি করে লেখা সিনেমা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। ২০১৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে একটি জীবনী প্রকাশ করেন সঞ্জয় বারু। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঞ্জয়বাবুর যথেষ্ট পরিচিতি আছে।
বিশদ

05th  January, 2019
সংবিধান ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক কেমন সম্পর্ক ছিল তখন জওহরলাল নেহরু আর মহম্মদ আলি জিন্নার? ১৯৪৬ সালের কলকাতা দাঙ্গার পর, নোয়াখালি, তারপর বিহার, তারপর পাঞ্জাব। রক্তগঙ্গা বইছে। ঠিক সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাটলি ভারতীয় নেতাদের ডেকেছিলেন একটি মিটিংয়ে। মাল্টা হয়ে লন্ডন।
বিশদ

04th  January, 2019
আলসেখানার বাসিন্দা থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশের ভোটে ৩০০ আসনে তিনিই ছিলেন মুখ! দুর্নীতির জালে আটকে পড়া, পাকিস্তান প্রেমে মত্ত আর ধর্মীয় উগ্রবাদে আস্থা রাখা বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইটাও ছিল তাঁর একার। নির্বাচনের আগাগোড়া আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দল আওয়ামি লিগ ফের জিতবে।
বিশদ

03rd  January, 2019
স্বাগত ২০১৯, নতুন বছরে একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই
হিমাংশু সিংহ

বিদায় ২০১৮। গত বারোমাসের হাজারো উজ্জ্বল এবং তারই মধ্যে কিছু কিছু ধুলো মলিন মন ভারাক্রান্ত করা স্মৃতিকে বিদায় দিয়ে দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। আগামী ৩৬৫ দিনে সবচেয়ে বড় যে দুটি মেগা ইভেন্ট প্রত্যক্ষ করার জন্য দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছে তা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন ও লন্ডনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
বিশদ

01st  January, 2019
একনজরে
লন্ডন, ১৫ জানুয়ারি (এএফপি): ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদন পেল না খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি। মঙ্গলবার সংসদে ঐতিহাসিক ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার বিষয়টি ফের ঝুলে রইল। তুমুল বিরোধিতার কারণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর খসড়া চুক্তিটি অনুমোদন না পাওয়ার সম্ভাবনাই ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল প্রার্থী জোট করে নবদ্বীপের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করলেও গত পাঁচ মাসে উপ-সমিত তৈরি না হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন বন্ধ। দু’বার উপসমিতির জন্য সভা ডেকেও বানচাল হয়ে যায়। আজ বুধবার ফের প্রশাসনিক কর্তারা সভা ডেকে ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: সাংগঠনিকভাবে বাংলায় দলকে চাঙা করতে কৃষক সংগঠনের উপরই ভরসা করছে সিপিএম। আগামী লোকসভা নির্বাচনে গ্রামে বুথ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কৃষকসভা এবং খেতমজুর সংগঠনের প্রতিনিধিরাই অগ্রাধিকার পেতে চলেছে। শুধু তাই নয়, আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারে কৃষক ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাওড়া জেলায় গঙ্গাধরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। ৮ জানুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে পাঁচদিন ব্যাপী এই উৎসবের সূচনা করেন শিক্ষাবিদ সন্তোষকুমার দাস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.২৮ টাকা ৭১.৯৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯৬ টাকা ৯৩.২১ টাকা
ইউরো ৭৯.৯৪ টাকা ৮২.৯৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৭৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৫৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ ১৪২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, নবমী ৪৫/৫৫ রাত্রি ১২/৪৫। নক্ষত্র- অশ্বিনী ১৮/৫২ দিবা ১/৫৬, সূ উ ৬/২৩/৫, অ ৫/৮/৩৭, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৯ গতে ২/১৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫৯ গতে ৪/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/০ মধ্যে পুনঃ ৮/৪০ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ঘ ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে, কালরাত্রি ঘ ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে।
 
৩০ পৌষ ১৪২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, নবমী রাত্রি ৭/৪৭/৩১। অশ্বিনীনক্ষত্র ৯/৪৮/৩৭। সূ উ ৬/২৪/২৭, অ ৫/৬/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৬/১০ মধ্যে ও ঘ ৭/৫০/২৯ থেকে ঘ ১১/২৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৬/৪০ থেকে ঘ ৮/৩৯/৫১ মধ্যে ও ৯/৩৩/১ থেকে ১২/১২/৩৫ মধ্যে ও ১/৫৮/৫৬ থেকে ৩/৪৫/১৯ মধ্যে ও ৫/৩১/৪০ থেকে ৬/২৪/৩৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪/৪৪ থেকে ৯/৫/১ মধ্যে, কালবেলা ১/৫/৫২ থেকে ঘ ২/২৬/৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৬/২৬ থেকে ঘ ৮/২৬/৯ মধ্যে। 
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি। মিথুন: শরীর-স্বাস্থ্য ভালো যাবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র ...বিশদ

07:03:20 PM

অনলাইনে অর্ধেক নারকেলের খোল বিকোচ্ছে ১৩৬৫ টাকায়
অর্ধেক নারকেলের খোলের দাম ১৩৬৫টাকা। তাও আবার ছাড় দিয়ে। আসল ...বিশদ

04:57:09 PM

দিনহাটায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেঁধে দোকান লুট 
কোচবিহারের দিনহাটার ওকরাবাড়িতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেঁধে রেখে দোকান লুট করল ...বিশদ

04:11:00 PM

ঘুম থেকে উঠতে দেরি, নাবালিকা পরিচারিকার মাথা ফাটালেন জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী
দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ‘অপরাধে’ বাড়ির নাবালিকা পরিচারিকাকে ...বিশদ

04:00:00 PM

বীরভূমের প্রান্তিক স্টেশনে কয়লা বোঝাই মালগাড়িতে আগুন 
কয়লা বোঝাই এক মালগাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক। বীরভূমের প্রান্তিক ...বিশদ

03:26:38 PM