পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
মমতার সভায় কংগ্রেসের অংশগ্রহণ একইভাবে বিড়ম্বনায় ফেলবে বাম শিবিরের অভিভাবক সিপিএমকে। পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা অন্তত তেমনই। যদিও সিপিএম নেতৃত্বও কংগ্রেস নেতৃত্বের সূত্রেই মল্লিকার্জুনের আসার খবর দু’-তিন দিন আগেই জেনেছিল দিল্লি থেকে। তবে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট ভিন্ন এবং সেই কারণে বাংলায় বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাঁরা এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট তৈরির আগ্রহ ত্যাগ করতে চান না। যদিও কংগ্রেসের ভাবগতিক আন্দাজ করে ‘প্ল্যান বি’ তৈরি রেখেছেন তাঁরা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বামেরা এককভাবে সব আসনে এককভাবে লড়তে পারে— এমন ধারণা দিয়ে জেলা নেতৃত্বকে প্রাক নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়ার আভাসও দিয়ে রেখেছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। পাশাপাশি নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্তি দূর করতে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেডে কংগ্রেসকে আহ্বান জানানোর কথাও নিজেদের চর্চায় রেখেছেন তাঁরা।
ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যমণি মমতা সহ দেশের তাবড় বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতার মঞ্চ ভাগাভাগির সময় অবশ্য সোমেন-মান্নানরা কেউ সেখানে উপস্থিত থাকছেন না। তবে প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে তাঁদের ঘনিষ্ঠ একজন মাঝারি মাপের নেতা খাড়গের সঙ্গে থাকবেন। যদিও ঘোর তৃণমূল বিরোধী সেই নেতা ব্যক্তিগতভাবে এই দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। বিমানবন্দরে অবশ্য খাড়গেকে স্বাগত জানাতে মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যর মতো নেতারা হাজির থাকবেন। ব্রিগেড যাওয়ার আগে বিধান ভবনে কয়েক মিনিটের জন্য তিনি সোমেন সহ প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে কথাও বলবেন। সেই আলোচনাতেই সোমেনবাবুরা রাজ্য-রাজনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং তৃণমূল সম্পর্কে তাঁদের অবস্থান মাথায় রেখেই যাতে হাইকমান্ডের প্রতিনিধি সেদিন তাঁর কৌশলী বক্তব্য রাখেন, সেই অনুরোধ জানাবেন খাড়গেকে। প্রদেশ সভাপতি এদিন অবশ্য বলেন, জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে হাইকমান্ড তৃণমূলের সমাবেশে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে। এর কোনও প্রভাব রাজ্য-রাজনীতিতে পড়বে না।