পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
গেটের তালা ভেঙে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে গণ্ডগোলের চেষ্টা পাকানোর অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিসের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও অভিযোগে নির্দিষ্ট কারও নাম নেই। অন্যদিকে, পুলিস স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি মামলা দায়ের করেছে। যেখানে রাস্তা অবরোধ, জমায়েত বেআইনি বলার পরেও আন্দোলনকারীরা তা শোনেনি এবং আটকে পড়া লোকজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করার সময় তারা বাধা দেয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এনিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এসএফআই ও ডিওয়াইএফের তরফে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়।
উল্লেখ্য, পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে সোমবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সারা দিন ধরে অবস্থানে বসেছিলেন বিভিন্ন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা অবরোধও করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি গেটই আটকে রাখা হয়। আন্দোলন চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতিও হয়। ঘটনায় উভয়পক্ষেরই কয়েকজন জখম হন। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণও করে টিএমসিপির কর্মীরা। দুপুরের পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। রাতে যদিও পুলিসের চাপে পড়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা আন্দোলন চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিসের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল ডেপুটি পুলিস সুপার (প্রশাসন) দেবশ্রী স্যানালের সঙ্গে দেখা করেন। আন্দোলনকারীদের তরফে সেলিম আলি বলেন, ওই ঘটনার বিচার চেয়ে আমরা এদিন পুলিসের দ্বারস্থ হই। পুলিস আমাদের আশ্বস্ত করেছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার রাতে অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিস কর্তারা বেশ কয়েকজন ছাত্রকে চড় মারে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে। ঘটনার নিন্দা করেছে এফএফআই, ডিএসওর মতো বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, সকাল থেকে আলোচনা চালানো হয়েছে। কাউকে কিছুই বলা হয়নি। এভাবে সমস্যার সমাধান হবে না তা বারবার বোঝানো হয়। কয়েকজন উস্কানি দেওয়ার কাজ করছিল। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে কিছু কিছু সময় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়।