Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধীদের
লোকসভা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে?
শুভা দত্ত

তিন রাজ্যের ভোটে ভালো ফল করার পর যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস ফের খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। লোকসভার ভিতরে বাইরে তাদের নেতা রাহুল গান্ধীর কথাবার্তা ও শরীরী ভাষাতেও সেটা পরিষ্কার। বিশেষ করে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌যুদ্ধ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তরজায় এখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকেই যেন অপেক্ষাকৃত ধারালো, তরতাজা দেখাচ্ছে! তবে, অনেক সময় তরজার ঝোঁকে মাত্রাজ্ঞানটা যে গৌণ হয়ে পড়ছে এটাও অস্বীকার করা যাচ্ছে না। এই তো, গত বুধবার জয়পুরে এক জনসভায় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাফাল নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে বললেন, ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতিওয়ালা চৌকিদার এখন একজন মহিলার শরণ নিয়েছেন, বলছেন, আমাকে বাঁচান। আমি নিজেকে বাঁচাতে পারছি না! মহিলা যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা তা আশা করি বলার অপেক্ষা রাখে না। এর পাল্টা দিতে গিয়ে আগ্রার এক সভায় মোদিজি রাহুলের নাম না করে তাঁর মন্তব্যকে ভারতের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সমেত গোটা দেশের নারীশক্তির অবমাননা বলে অভিযোগ তুললেন। আর তা শোনামাত্র কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করে যে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর কটাক্ষটি হানলেন তার জবাব দেওয়া সহজ ছিল না! জবাব আসেওনি। টুইটে রাহুল লিখেছিলেন, মোদিজি, আপনার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমাদের সংস্কৃতিতে ঘর পরিবার থেকেই নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সূচনা হয়। কথাটার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কে না বোঝেন?
আসলে, যাকে বলে ‘বিলো দ্য বেল্ট’ আঘাত করা, আজকাল রাজনীতির ময়দানে সেটা যে একরকম রেওয়াজই হয়ে গেছে ওই টুইট কটাক্ষ তারই প্রমাণ। যুক্তিতে না পারলেই আকথা-কুকথা আর তাতে যদি মনে হয় উদ্দেশ্য সিদ্ধ হচ্ছে না, তখন ঘর পরিবার নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিরোধীর (তা সে তিনি বিরোধী দলনেতা নেত্রীই হোন কি দেশের প্রধানমন্ত্রী) কোনও দুর্বল জায়গায় ঘা মারা— রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এখন এমন আকছার ঘটছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও তাঁর ব্যতিক্রম হতে পারলেন কই? রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত নিয়ে বহুদিন যাবৎই রাহুল প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধতে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগটি প্রায় স্লোগানের মতো ছড়িয়েছে সারা দেশে! দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে চৌকিদার ব্যাপারটা! এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। রাজনীতির লোকজন সম্পর্কে বহুকাল ধরেই মানুষের ধারণা খুব মধুর নয়। তাই, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও একটা কিছু মুখরোচক পেলে বহুজনই তার সত্য-মিথ্যা বিচার না করেই গিলে নেন। আর সেই রাজনীতিক যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে তো কথাই নেই। বড় ক্ষমতাবানকে, বিশেষ করে যিনি ‘প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ’ বলে চিহ্নিত, তাঁকে কোনওভাবে অস্বস্তিতে পড়তে দেখলে অনেকের এক ধরনের ভালো লাগে বোধহয়। আর তাই, ২০১৪ সালে নতুন ভারত দারিদ্র্য-দুশ্চিন্তামুক্ত ভারত গড়ার কারিগর বলে যাঁকে দেশের মানুষ বিপুলভাবে বরণ করে নিয়েছিলেন, মাত্র কটা বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে চোর অপবাদ প্রকৃত সত্য যাচাইয়ের অপেক্ষা না রেখে সেই জনমহলের একাংশেই বেশ জায়গা পেয়ে যায়! এবং ওই স্লোগানের কারিগর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নামটাও সে মহলে আগের চেয়ে বেশি চর্চায় চলে আসে। সেইসঙ্গে তিন রাজ্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের রীতিমতো মোড় ঘোরানো ফল রাহুল-চর্চাকে আরও গভীর, আরও ব্যাপক করে তোলে! পুরনো ভাবনা ছেড়ে নতুন চোখে রাহুলকে দেখাও শুরু হয়ে যায় মহলের কোথাও কোথাও! এই না হলে ভারতদেশের রাজনীতি!
তো সে যাই হোক, তিন বিধানসভা জয়ের অক্সিজেন পেয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সপার্ষদ মোদি হটাও অভিযানে নেমে পড়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছেন, সভা সমাবেশ করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে রাফাল ইত্যাদি নিয়ে তোপের পর তোপ দাগছেন, কটুকাটব্য ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছেন, অনেক সময় সেসবের সীমা বেল্টের নীচেও নেমে যাচ্ছে, আর তাতে উৎফুল্ল সমর্থক জনতার উল্লাসও শুনছেন। অন্যদিকে, বামেরাও তাঁদের শ্রমিক সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে দেশ জুড়ে দুদিনের ধর্মঘট করে মোদিজির সরকারকে ‘ধাক্কা’ দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তাতে কাজের কাজ কী হল ভবিষ্যৎ বলবে, তবে দুদিন এই বাংলায় না হলেও দেশের কোথাও কোথাও গরিবের রুটি-রুজি বন্ধ থাকল, কাজকামে বিঘ্ন ঘটল, সাধারণ জনজীবন কিছুটা হলেও বিপর্যস্ত হল! বন্‌ধ সমর্থক নেতানেত্রীরা বুক ফুলিয়ে দাবি করলেন, দেশজনতা তাঁদের বন্‌ধ঩কে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন এবং আসন্ন লোকসভা ভোটে মোদিরাজ খতম করতে তাঁরা বামেদের সমর্থনপুষ্ট বিরোধী জোটকে সাথ দেবেন! পাশাপাশি ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, ইউপির মায়াবতী অখিলেশ যাদবরাও নানান খেল্‌ ঩নিয়ে আসরে নেমে পড়েছেন। কিন্তু, প্রশ্ন হল, এভাবে কি হবে? রাহুল গান্ধী, অখিলেশ মায়াবতী বা সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম যেই থাকুন, মমতার নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধীদের লোকসভা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে? ৫৬ ইঞ্চি ছাতিওয়ালা দেশের চৌকিদারকে ক্ষমতা থেকে হটানো যাবে?
রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞমহলের অনেকেই মনে করছেন, এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি যা তাতে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিরোধীজোট হলেই দিল্লির মসনদে রং বদল হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিকল্প একটাই—মমতার ফেডারেল ফ্রন্ট। মমতা বহুদিন ধরেই ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরিতে নেমেছেন তেলেঙ্গানার কেসিআর অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবুর মতো দেশের নানা প্রান্তের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ইতিমধ্যেই মমতার ফ্রন্টে শামিল হয়েছেন। কিন্তু, তিন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস ভালো ফল করার পর রাহুল গান্ধী খানিক প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ায় কোনও কোনও নেতা আবার দোলাচলেও ভুগছেন। মমতা না রাহুল কোনদিকে যাবেন তাই নিয়ে দোলাচল। কিন্তু, রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞজনেদের বক্তব্য, রাহুল সভাসমিতিতে বা টুইট করে চটকদার চমকদার যেসব কথা বলছেন বা যেসব লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন—ভোট রাজনীতির দিক থেকে তার একটা তাৎক্ষণিক মূল্য থাকতে পারে। কিন্তু, তা দিয়ে মোদিজি বা তাঁর বিজেপির মতো কৌশল-নিপুণ প্রভাবশালীকে চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধে পরাস্ত করা, কি নিদেনপক্ষে কিছুটা বেকায়দায় ফেলাও কতদূর সম্ভব তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ, যে দুর্নীতিকে ইস্যু করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছেন রাহুল, ঠিক সেই ইস্যুতেই তাঁদের দলের সরকারের মহাপতন ঘটেছিল ২০১৪ সালে! মনমোহন সিং সরকারের বিরুদ্ধে দেশজনতার প্রধান যে দুটি অভিযোগ ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্নীতি! আজ মোদিজির বিরুদ্ধে যেমন সাধারণ মানুষের মনে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের জ্বালা জেগেছে, মূল্যবৃদ্ধির দাপটে সেই জ্বালায় যন্ত্রণা বেড়েছে— মনমোহন সিংয়ের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। মনমোহনের কংগ্রেস সরকারের প্রতি দেশের মানুষের সেই ক্ষোভ, সেই প্রতিশ্রুতিভঙ্গের জ্বালা রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসের রাজনৈতিক অগ্রগতির পথে নরেন্দ্র মোদির চেয়েও বড় বাধা হয়ে দাঁড়ানোর একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। মানুষের মন বলে কথা!
আর বাদবাকি যাঁরা, তাঁদের কার আছে তেমন সর্বভারতীয় প্রভাব-প্রতিপত্তি, যা দিয়ে মোদিজিকে টেক্কা দিতে পারেন তাঁরা? একটা জবরদস্ত ভোট মহাযুদ্ধের পটভূমি রচনা করতে পারেন? আছেন তো একজনই— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ কথা আমরা বলছি না, বলছেন জাতীয় রাজনীতির একাধিক পর্যবেক্ষক, বলছে মমতামুগ্ধ দেশ জনতা। বলছে যে তার কারণও আছে। প্রথমত, মমতার কোনও অপ্রীতিকর ইতিহাস নেই। অতীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে রেল সমেত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর তিনি সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন। তাঁর আমলে ‘দূরন্ত’র মতো দুর্দান্ত নন-স্টপ ট্রেন এবং ঝকঝকে পরিষেবা পেয়েছিল দেশ। রেলের ভাড়াও নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন তিনি। তাতে আপামর দেশবাসী যে উপকৃত হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ রেলের অবস্থা, চড়া ভাড়া এবং পরিষেবার মানের সঙ্গে তুলনা করলে তফাৎটা যে কারওরই নজরে আসবে। অন্যদিকে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সিপিএমের ছেড়ে যাওয়া রুগ্ন, হতশ্রী শিল্পহীন উন্নয়নহীন রাজ্যটাকে মাত্র কয়েক বছরে অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি কোথায় তুলে নিয়ে গেছেন সেটাও লোকে দেখছেন। তাঁর বিশ্ববাংলা কন্যাশ্রী আজ কেবল দেশে নয়, গোটা বিশ্বে মর্যাদা স্বীকৃতির আলোয় মহিমান্বিত। এবং, ইতিমধ্যেই মমতা ঘোষণা করেছেন, দেশের ক্ষমতায় এলে গোটা দেশকে কন্যাশ্রীর আওতায় আনবেন।
দেশের মানুষ তাঁর এই প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করলে আশ্চর্যের কিছু নেই। কারণ তাঁরা তো শুনছেন, দেখছেন, বুঝছেন—মমতা যা প্রতিশ্রুতি দেন তা বাস্তবায়িত করেন। দেশের মন্ত্রী হিসেবে করেছেন। এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে করছেন। আর সেইসূত্রেই দেশজনতার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও করবেন। মোদিজির মতো মহানেতা এবং তাঁর সুদক্ষ পদ্মবাহিনীর বিরুদ্ধে এমন একজন সৎ-স্বচ্ছ কর্তব্যে অবিচল মহানেত্রী ছাড়া লড়াই জমে!
13th  January, 2019
নলজাতক কৌরব ও চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়
শুভময় মৈত্র

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে প্রতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভারতে যে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন (ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস) হয় তা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ মানের। ‘সম্পূর্ণ নিম্নমানের’ কথাটা ব্যবহার করা ঠিক হবে না।  
বিশদ

15th  January, 2019
‘প্রায় সব ভারতবাসীই গরিব’
পি চিদম্বরম

 কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতভাবে, ওটাই নরেন্দ্র মোদির সরকারের মত। এই মতের পক্ষে সমর্থনের স্পষ্টতা রোজ বাড়ছে। সেই স্পষ্টতার সর্বশেষ নিদর্শন পাওয়া গেল তড়িঘড়ি সংবিধান (১২৪তম সংশোধন) বিলের খসড়া তৈরি (৭ জানুয়ারি) এবং তা সংসদে পাশ (৯ জানুয়ারি) হয়ে যাওয়ার মধ্যে।
বিশদ

14th  January, 2019
তিন তালাক বিল অমানবিক ও বৈষম্যমূলক
শামিম আহমেদ

রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন ৯ জানুয়ারি শেষ হল, তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় হল না। বিরোধীরা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় রইল।
বিশদ

12th  January, 2019
মহাকাশ-চর্চায় ভারতকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া
মৃণালকান্তি দাস

 মহাকাশ জয় নিয়ে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্তত একজন ভারতীয় মহাকাশে যাক। আর তার জন্য বন্ধু দেশ রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। বিশদ

11th  January, 2019
মমতার ব্রিগেডে মিলতে পারে
অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ-রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারিতে বামেদের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। বিজেপি ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করলেও, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আটকে পড়ায়, ২৯ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা নতুন করে ভাবছে।
বিশদ

10th  January, 2019
অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন।
বিশদ

08th  January, 2019
রিপোর্ট কার্ডে ‘ফেল’
পি চিদম্বরম

আমি দিল্লি থেকে লিখছি, যেটা পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল মহানগরীর একটা। এখনও শীতকাল। গত সপ্তাহে যে বসন্তের উল্লেখ করেছিলাম তা এখনও কয়েক সপ্তাহ দূরে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের ভোটে সবক’টাতে পরাজয় সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনও সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ, উদ্ধত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাচ্ছিল্যপূর্ণ।
বিশদ

07th  January, 2019
দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে?
শুভা দত্ত

 সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন। সরাসরি অবশ্য প্রস্তাবটা রাখেননি বিমানবাবু, রেখেছিলেন আকারে ইঙ্গিতে, ঘোরানো কথায়। কিন্তু, রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণজন সকলেই তাঁর সেই ঘোরানো-প্যাঁচানো কথার মধ্যেকার আসল বক্তব্যটি ধরে ফেলেছিলেন।
বিশদ

06th  January, 2019
প্রধানমন্ত্রী: আকস্মিক বনাম আত্মঘাতী
শুভময় মৈত্র

 ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইটি এবং তার ওপর ভিত্তি করে লেখা সিনেমা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। ২০১৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে একটি জীবনী প্রকাশ করেন সঞ্জয় বারু। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঞ্জয়বাবুর যথেষ্ট পরিচিতি আছে।
বিশদ

05th  January, 2019
সংবিধান ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক কেমন সম্পর্ক ছিল তখন জওহরলাল নেহরু আর মহম্মদ আলি জিন্নার? ১৯৪৬ সালের কলকাতা দাঙ্গার পর, নোয়াখালি, তারপর বিহার, তারপর পাঞ্জাব। রক্তগঙ্গা বইছে। ঠিক সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাটলি ভারতীয় নেতাদের ডেকেছিলেন একটি মিটিংয়ে। মাল্টা হয়ে লন্ডন।
বিশদ

04th  January, 2019
আলসেখানার বাসিন্দা থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশের ভোটে ৩০০ আসনে তিনিই ছিলেন মুখ! দুর্নীতির জালে আটকে পড়া, পাকিস্তান প্রেমে মত্ত আর ধর্মীয় উগ্রবাদে আস্থা রাখা বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইটাও ছিল তাঁর একার। নির্বাচনের আগাগোড়া আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দল আওয়ামি লিগ ফের জিতবে।
বিশদ

03rd  January, 2019
স্বাগত ২০১৯, নতুন বছরে একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই
হিমাংশু সিংহ

বিদায় ২০১৮। গত বারোমাসের হাজারো উজ্জ্বল এবং তারই মধ্যে কিছু কিছু ধুলো মলিন মন ভারাক্রান্ত করা স্মৃতিকে বিদায় দিয়ে দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। আগামী ৩৬৫ দিনে সবচেয়ে বড় যে দুটি মেগা ইভেন্ট প্রত্যক্ষ করার জন্য দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছে তা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন ও লন্ডনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
বিশদ

01st  January, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল প্রার্থী জোট করে নবদ্বীপের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করলেও গত পাঁচ মাসে উপ-সমিত তৈরি না হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন বন্ধ। দু’বার উপসমিতির জন্য সভা ডেকেও বানচাল হয়ে যায়। আজ বুধবার ফের প্রশাসনিক কর্তারা সভা ডেকে ...

নয়াদিল্লি, ১৬ জানুয়ারি: সীমান্তে চীন ও পাকিস্তানের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এবার সশস্ত্র কোয়াডকপ্টার (সশস্ত্র ড্রোন) তৈরি করে ফেলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বিতর্কিত সীমান্তে অপারেশনাল চাহিদা পূরণ করাই এর অন্যতম লক্ষ্য। ১১ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে সেনা প্রযুক্তি সেমিনার ২০১৯-এ এই ...

শারজা, ১৫ জানুয়ারি: এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও ভারতের পারফরম্যান্স বাকিদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। সোমবার এই মন্তব্য করেন বিদায়ী কোচ স্টিভন ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাওড়া জেলায় গঙ্গাধরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। ৮ জানুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে পাঁচদিন ব্যাপী এই উৎসবের সূচনা করেন শিক্ষাবিদ সন্তোষকুমার দাস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.২৮ টাকা ৭১.৯৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৯৬ টাকা ৯৩.২১ টাকা
ইউরো ৭৯.৯৪ টাকা ৮২.৯৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৭৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৫৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ ১৪২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, নবমী ৪৫/৫৫ রাত্রি ১২/৪৫। নক্ষত্র- অশ্বিনী ১৮/৫২ দিবা ১/৫৬, সূ উ ৬/২৩/৫, অ ৫/৮/৩৭, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৯ গতে ২/১৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫৯ গতে ৪/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/০ মধ্যে পুনঃ ৮/৪০ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ঘ ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে, কালরাত্রি ঘ ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে।
 
৩০ পৌষ ১৪২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, নবমী রাত্রি ৭/৪৭/৩১। অশ্বিনীনক্ষত্র ৯/৪৮/৩৭। সূ উ ৬/২৪/২৭, অ ৫/৬/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৬/১০ মধ্যে ও ঘ ৭/৫০/২৯ থেকে ঘ ১১/২৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৬/৪০ থেকে ঘ ৮/৩৯/৫১ মধ্যে ও ৯/৩৩/১ থেকে ১২/১২/৩৫ মধ্যে ও ১/৫৮/৫৬ থেকে ৩/৪৫/১৯ মধ্যে ও ৫/৩১/৪০ থেকে ৬/২৪/৩৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪/৪৪ থেকে ৯/৫/১ মধ্যে, কালবেলা ১/৫/৫২ থেকে ঘ ২/২৬/৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৬/২৬ থেকে ঘ ৮/২৬/৯ মধ্যে। 
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি। মিথুন: শরীর-স্বাস্থ্য ভালো যাবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র ...বিশদ

07:03:20 PM

অনলাইনে অর্ধেক নারকেলের খোল বিকোচ্ছে ১৩৬৫ টাকায়
অর্ধেক নারকেলের খোলের দাম ১৩৬৫টাকা। তাও আবার ছাড় দিয়ে। আসল ...বিশদ

04:57:09 PM

দিনহাটায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেঁধে দোকান লুট 
কোচবিহারের দিনহাটার ওকরাবাড়িতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেঁধে রেখে দোকান লুট করল ...বিশদ

04:11:00 PM

ঘুম থেকে উঠতে দেরি, নাবালিকা পরিচারিকার মাথা ফাটালেন জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী
দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ‘অপরাধে’ বাড়ির নাবালিকা পরিচারিকাকে ...বিশদ

04:00:00 PM

বীরভূমের প্রান্তিক স্টেশনে কয়লা বোঝাই মালগাড়িতে আগুন 
কয়লা বোঝাই এক মালগাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক। বীরভূমের প্রান্তিক ...বিশদ

03:26:38 PM