পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
নাটকের প্রাক কথনটি বুনে দেন সুপ্রিয় দত্ত। চন্দ্রাহতের কুটিরে থাকে নানা পেশা ও নেশার মানুষ। কেশব, মন্টু, বঙ্কিমের মতো নানা চরিত্র। সব চরিত্র তাদের আবেগ, আনন্দ, অন্ধকারময় জীবনের অভিজ্ঞতা নৃত্যগীতিতে তুলে ধরেছে। এরা একে অপরকে কঠিন ভাবে অবিশ্বাস করে। আবার পরম মমতায় একে অপরকে জড়িয়ে রাখে। আজকের লেখক মনোতোষ (পার্থসারথি সরকার) নেশা থেকে মুক্তি পেতে কুটিরে এসেছে। জাপানি কবি মাৎসুও বাশোর লেখা অনুবাদ করছে। মনোতোষের স্বপ্নালোকের পথ ধরে নাটকে প্রবেশ করে বাশো (নীলাঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়) এবং কুটিরবাসীদের সঙ্গে থেকে যায়। শেষে লেখক ও বাশোর জার্নিতে বাশো বুঝতে পারে এই কুটিরের বাসিন্দারা খুব সহজ, সরল। এদের কেউ বোঝেনি। কোনওদিন বুঝবেও না। এরা সম্পূর্ণ সুস্থ।
ঘোর বাস্তব থেকে জন্ম নেওয়া বেদনাক্লিষ্ট ফ্যান্টাসির জগৎকে দেখিয়েছেন পরিচালক পৃথ্বীশ রানা। চরিত্রায়নে সুরজিৎ পাল, মৌমিতা দত্ত, অনির্বাণ পাল সহ অন্যান্য কলাকুশলীরা সাবলীল। শুধুমাত্র পরিকল্পিত নির্দেশনাই নয় সঙ্গীতে তন্ময় পাল, আবহে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, সৃজনশীল সঙ্গীতে দেবরাজ ভট্টাচার্য, পোশাকে মৌমিতা দত্ত এবং মঞ্চ ও আলোয় অভ্র দাশগুপ্ত প্রশংসার দাবি রাখেন। কুশীলবদের ছাতার ব্যবহার, মঞ্চে আলোয় জলের টাপুর টুপুরের পরিকল্পনাটি মনে রাখার মতো।