পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
বাড়িতে প্রিয়তোষের পছন্দের জায়গা চিলেকোঠার ছাদ। স্কুলের সময়টুকু ছাড়া অবসর সময়ে এই ছাদই তার মুক্তির আকাশ, প্রাণের আরাম। এভাবেই কাটছিল দিন। প্রতি বছর নতুন শিশুরা আসে। চলেও যায়। মাঝের সময়ে তাদের আবদার, দুষ্টুমি প্রাণ ভরে উপভোগ করে প্রিয়তোষ। তারপর আবার নতুনদের অপেক্ষায়। কিন্তু কালের নিয়মে জীবন ঘুরে যায় অন্য স্রোতে। এক সময় শুধু শিশুরা নয়, তাদের অভিভাবকরাও হয়ে ওঠে প্রিয়তোষের আপনজন। তাদের সঙ্গে আড্ডায় জমে ওঠে নিঃসঙ্গ সকাল। নতুন বন্ধুরা প্রিয়তোষের জন্মদিন পালন করে। জন্মদিনে কেউ কেউ চায় ‘রিটার্ন গিফট’। কী ছিল সেই ফিরতি উপহারে? মাঙ্গলিকের নতুন নাটক ‘রিটার্ন গিফট’-এ রয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর। সম্প্রতি মাঙ্গলিকের এই প্রযোজনা মঞ্চায়ন হল অ্যাকাডেমিতে। সৌম্য বিশ্বাসের লেখা নাটকে নির্দেশনা দিয়েছেন সমীর বিশ্বাস। মুখ্য চরিত্রে তাঁর অভিনয় উপভোগ করেন দর্শক।
প্রিয়তোষ নাটকের প্রধান চরিত্র। সমীর সে চরিত্রকে নাটকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন। তাঁর অভিনয়ের মধ্যে অনেক না বলা কথার মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়। যাঁর হৃদয়ে জমে থাকা দুঃখের ভারকে শারীরিক ভাবভঙ্গিতে দর্শকদের কাছে তুলে ধরেছেন। শশধরের চরিত্র রূপায়নে হাবুল সাহা যেমনটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই নিজেকে মেলে ধরেছেন। হরেনের চরিত্রে মুরারি চক্রবর্তী যোগ্য নির্বাচন। এছাড়া মিতা মুখোপাধ্যায়, আত্রী কুণ্ডু, সঞ্চয়িতা চৌধুরী, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়েপর অভিনয় এই নাটকের অলঙ্কার। সৌম্য বিশ্বাস একটি অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দেবব্রত মাইতির মঞ্চ পরিকল্পনা, শান্ত অধিকারীর শব্দ প্রক্ষেপণ ও বাবলু সরকারের আলো নাটককে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। মানবিক ভাবনার এই নাটকে একজন নিঃসঙ্গ মানুষের ভাবনা চিন্তার স্তর গুলিকে নিয়ে কাটাছেঁড়া করেছেন পরিচালক। সময়ের জাঁতাকলে সব মানুষই এই পর্বে এসে পৌঁছবে। সেই দিনগুলোর খণ্ড চিত্র এই নাটক।