পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বিগত বছরের সাফল্য নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকুন
নতুন বছরে ইতিবাচক মানসিকতা তৈরির সবচেয়ে কার্যকরী টিপসগুলির অন্যতম হল, বিগত বছরে কী কী পেলাম, তা নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকা। বিদায় নেওয়া বছরটি যতই মন্দ যাক, তার মধ্যে ভালো জিনিসগুলি সম্পর্কে কৃতজ্ঞতাবোধ বা ‘সেন্স অব গ্র্যাটিচিউড’ রাখতে হবে। যদি তেমন কোনও বিষয় খুঁজেই না পাওয়া যায়, তাহলে ছোট বা সাধারণ জিনিসগুলির দিকে তাকাতে হবে। যেমন—স্বাস্থ্য ঠিক আছে তো? স্কুল-কলেজ বা কাজের জায়গায় বছরটা ভালোয় ভালোয় উতরোতে পেরেছেন কি? কাছের মানুষদের সঙ্গে সুখের সময় কাটাতে পেরেছেন কি না ইত্যাদি। যত বেশি করে মনে এই ধরনের কৃতজ্ঞতার ভাব আসবে, ততই মেজাজ থাকবে ফুরফুরে।
অপূর্ণতা স্বীকার করুন
অভিজ্ঞতার উপর ফোকাস করুন, ফলাফলে নয়। বিগত বছরের ত্রুটি, অপূর্ণতাকেগুলিকে একেবারে ভুলে গেলে চলবে না। তাদেরও বুকে জড়িয়ে ধরতে হবে। নইলে নতুন বছরে সেগুলি শুধরে নেওয়া সম্ভব হবে না। আবার এই অপূর্ণতা নিয়ে নিজে ওয়াকিবহাল থাকলে, তা ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করে। চটজলদি সমাধানের বদলে সার্বিক উন্নতির উপর জোর দিন। মাঝেমধ্যে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে দিন। নিজের দক্ষতার উপর বিশ্বাস রাখলে মানসিক জোর পাওয়া যায়।
ভিশন বোর্ড তৈরি করুন
নতুন বছরের জন্য লক্ষ্যগুলি স্থির করে ফেলতে হবে। নতুন বছরের কাছে নিজের চাহিদাগুলিও বুঝে নিতে হবে। কেউ ফিটনেসে নজর দিতে আগ্রহী। কেউ আবার পরীক্ষায় ভালো ফল করার চেষ্টা করছেন। কারও হয়তো কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়ার দীর্ঘদিনের বাসনা পূরণের ইচ্ছে রয়েছে। সবগুলির একটি তালিকা তৈরি করে ঘরে কোথাও টাঙিয়ে রাখুন। ইন্টারনেট থেকে সেই সংক্রান্ত ছবি বা উদ্ধৃতি বের করে সেখানে লাগান। রোজ সেসব চোখের সামনে দেখলে লক্ষ্যপূরণে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা যাবে।
বাস্তবসম্মত লক্ষ্য স্থির করুন
নতুন বছরের জন্য শুধু লক্ষ্য স্থির করলেই হবে না। খেয়াল রাখতে হবে সেই লক্ষ্যগুলি যেন বাস্তবসম্মত হয়। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, নতুন বছরের শুরুতে নেওয়া ‘রেজোলিউশন’ বছরের মাঝপথেই কোথায় হারিয়ে যায়। তাই নিজের জন্য যে লক্ষ্যই রাখুন, তা যেন অবাস্তব কিছু না হয়। তাই লক্ষ্যগুলিকে ভেঙে ছোট ছোট টুকরো করে ফেলতে হবে। বিষয়গুলিকে আরও নির্দিষ্ট করতে হবে। যেমন— গোটা বছরে ১০ হাজার কিমি দৌড়নোর টার্গেট রাখা যেতে পারে। বা বছরশেষের কোনও অনুষ্ঠানের জন্য নিজেকে সুঠাম করে তোলার লক্ষ্য রাখা যেতে পারে। এরপর সেই লক্ষ্যকে মাসিক, সাপ্তাহিক এবং দৈনিক হিসাবে ভাগ করে নিতে হবে। এর মধ্যে মাসে দু’দিন ফিটনেস ক্লাসও করা যেতে পারে। আবার সপ্তাহিক ডায়েটও মানতে পারেন। এর মধ্যে দৈনন্দিন নির্দিষ্ট পরিমাণ জলপানকেও লক্ষ্য হিসেবে ধরা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন আশাবাদী থাকা যাবে, তেমনই লক্ষ্যপূরণে উৎসাহও মিলবে।
প্রয়োজনে নিজেকে বদলান
নিত্যজীবনের ইঁদুরদৌড়ে অনেকেই নিজের পরিবার-পরিজনকে যথেষ্ট সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। এটা মনকে নেতিবাচক মানসিকতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এর পাশাপাশি শুধুমাত্র নিজের জন্যও সময় বের করতে হবে। নিয়মিত ‘মাইন্ডফুলনেস’ অভ্যাস করতে হবে। অর্থাৎ, সারা দিনে অন্তত তিনটি কাজ বেছে, তা একাগ্রচিত্তে সম্পন্ন করতে হবে। এতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।
ভবিষ্যৎ আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। তবে যে কোনও ভালো-মন্দ পরিস্থিতিতে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি রেখে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকাটা কিন্তু আমাদের হাতেই রয়েছে।