উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যকর চুল
বৃষ্টির জল প্রাকৃতিকভাবে চুলের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। বৃষ্টির জলেতে প্রাকৃতিক অ্যালকালাইন থাকে, যা চুলের গোড়া থেকে ময়লা ও খুশকি পরিষ্কার করে। নিয়মিত বৃষ্টির জলেতে স্নান রুক্ষ চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে, যার ফলে চুল চকচকে দেখায়। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর আবার ভালোমতো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
ভিটামিন বি১২
বৃষ্টির জলের খরতা নেই বললেই চলে। আর এই জল অ্যালকালাইন পিএইচসমৃদ্ধ, যা আপনার মেজাজ ফুরফুরে করে তুলতে সক্ষম। বৃষ্টির জলেতে নানা অণুজীব থাকে, যেগুলো বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিটামিন বি১২ তৈরি করে। তাই আপনার যদি এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকে, তবে বৃষ্টি হলে নিয়ম করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজতে পারেন। তবে ভেজার পর তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালো করে স্নান করে নিতে হবে।
হরমোনের ভারসাম্য
অনেকেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভোগেন। এ সমস্যারও সমাধান রয়েছে বৃষ্টির জলে। গবেষণায় দেখা গেছে, বৃষ্টির জল হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দূর করতে পারে। বৃষ্টির জল কানের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতেও বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। কানে ব্যথা বা ইনফেকশন দূর করার ক্ষেত্রে বৃষ্টির জল বেশ উপকারী। তবে মাত্রাতিরিক্ত সময়, অর্থাৎ ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি বৃষ্টিতে ভেজা উচিত নয়, এতে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
চর্মরোগের সমাধান
বৃষ্টিতে ভিজলে বা নিয়মিত স্নান করলে চুলকানি ও ত্বকের খসখসে ভাব চলে যায়। বৃষ্টিতে ভিজলে বা নিয়মিত স্নান করলে চুলকানি ও ত্বকের খসখসে ভাব চলে যায়। বর্ষাকালের গুমোট গরমে অনেকেই চর্মরোগে ভুগে থাকেন। ত্বকের বিভিন্ন ফুসকুড়ি ও চুলকানির সমাধান আছে বৃষ্টির শীতল জলেতে। বৃষ্টিতে ভিজলে বা নিয়মিত স্নান করলে চুলকানি ও ত্বকের খসখসে ভাব চলে যায়। এটা প্রমাণিত যে বৃষ্টির জল আপনার ত্বকের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং গ্রীষ্মের ফুসকুড়ি থেকে মুক্তি দেয়।
মন ভালো হয়: বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর থেকে হ্যাপিনেস হরমোন, অর্থাৎ এন্ডোরফিন ও সেরাটোনিন নিঃসৃত হয়। এ জন্য বৃষ্টিতে ভিজলে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।