উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
শুক্রবার বিআইটিএমে গিয়ে দেখা গেল, দু’টি সেমিনার হলের একটিতে কলকাতা জেলা ও অন্যটিকে হাওড়া জেলার পড়ুয়ারা ক্লাস করতে ব্যস্ত। কলকাতার জন্য হচ্ছিল রসায়নের ক্লাস। আর হাওড়ার জন্য চলছে ইলেকট্রনিক্সের ক্লাস। কলকাতার মোট পাঁচটি স্কুলের ১০ জন করে পড়ুয়া এখানে যোগ দিয়েছে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণির ছাত্র হেমকেশ গুহ বলছিল, ‘বইতে পড়েছিলাম। এখানে এসে চোখের সামনে সবটা দেখতে পারছি। খুবই ভালো লাগছে।’ তিনদিন ব্যাপী সায়েন্স ক্যাম্পে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীবন বিজ্ঞান, গণিত, ইলেকট্রনিক্স ও বেসিক অ্যাস্ট্রোনমি বিষয়গুলি রয়েছে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের অঙ্কের শিক্ষক দেবাশিস দত্ত বলছিলেন, ‘এগুলি আরও বেশি সময় নিয়ে, বছরে একাধিকবার করা দরকার।’ এর পাশাপাশি বর্ধমান, পুরুলিয়া, শিলিগুড়ি ও দিঘায় বিআইটিএমের ক্যাম্পাসে অন্যান্য জেলার স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে সায়েন্স ক্যাম্প ও এক্সপোজারের আয়োজন থাকছে। হাওড়ার শ্রী রামকৃষ্ণ শিক্ষালয়ের নবম শ্রেণির পড়ুয়া শুভজিত্ জানার সায়েন্স শো ভালো লেগেছে। তার কথায়, ‘এগুলি সিলেবাসে নেই ঠিকই। কিন্তু সিলেবাসের বাইরে এমন কিছুও তো জানতে হবে। নাইট্রোজেন বেলুনের একটা সায়েন্স শো দেখাল। দারুণ লেগেছে।’ ওই স্কুলেরই অঙ্কের শিক্ষক পলাশ চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘বিজ্ঞানের জেনারেল স্ট্রিমের প্রতি ছাত্ররা এখন আগ্রহ হারাচ্ছে। এই ধরনের কর্মসূচি যত হবে, তত আগ্রহ বাড়বে।’ হাওড়ার সালকিয়া বিক্রম বিদ্যালয়ের ছাত্রী জ্যোতি কামতি বলছে, ‘বেশ সুন্দর গল্প করে আমাদের বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে বোঝানো হচ্ছে। একদম বোরিং লাগছে না।’ ওই স্কুলেরই রসায়নের শিক্ষক সুনীল কুমার শর্মা বলছিলেন, ‘সব স্কুলে ভালো পরিকাঠামো থাকে না। এরকম ক্যাম্প হলে আরও ভালো হয়।’