কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
ভাজাভুজি, মিষ্টি তো পুজোর সময় খেতে ইচ্ছে হতেই পারে। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যে কোনও খাবার খেতে ইচ্ছে হলেই যে বেশি খেতে হবে তার কোনও মানে নেই। পরিমিতি বোধটা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়— যেদিন একটা সন্দেশ খাবেন, সেদিন ভাত বা রুটি একটু কম খান। বেশি পরিমাণে কোল্ড ড্রিংকস খেলে সুগার অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। তাই না খাওয়াই ভালো। আর হ্যাঁ, যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল কিন্তু মারাত্মক হাইপোগ্লাইসিমিয়া (রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যাওয়া) করতে পারে। যাঁদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস আছে তাঁরা মিষ্টি একটু বেশি খেলে তার আগে ইনসুলিন-এর ডোজ ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন।
যাঁদের ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা, বিশেষত হার্ট বা কিডনির সমস্যা আছে, তাঁদের কিন্তু খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই ব্যাপারে আপনার ডাক্তারবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
যাঁরা একটু ঘোরাঘুরির প্ল্যান করছেন, তাদের অবশ্যই উচিত হাইপোগ্লাইসেমিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা। দীর্ঘসময় খালি পেটে থাকবেন না। সঙ্গে সবসময় ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম গ্লুকোজ বা চিনি রাখুন। আর রাখুন গ্লুকোমিটার। যদি হঠাৎ করে মাথা ঘোরে, ঘাম দেয়, অথবা বুক ধড়ফড় করে, সঙ্গে গ্লুকোমিটার থাকলে সঙ্গে সঙ্গে সুগার পরীক্ষা করে দেখুন সুগার ফল (ব্লাডসুগার ৭০ মিলিগ্রাম-এর কম) করেছে কি না। যদি গ্লুকোমিটার সঙ্গে না থাকে, ১৫ থেকে ২০ গ্রাম গ্লুকোজ বা চিনি অনুমানের ভিত্তিতে খেয়ে নিন। তারপর ভাত, রুটি, মুড়ি বা কয়েকটি বিস্কুট খেয়ে নিন।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা না বললেই নয়। করোনা কিন্তু একেবারে চলে যায়নি। আপনারা এটাও জানেন যাঁদের ডায়াবেটিস আছে তাঁদের করোনার জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সুতরাং পুজোর আবহে আনন্দ করুন করোনা বিধি মেনে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
* পরামর্শে এসএসকেএম হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর ডাঃ রাণা ভট্টাচার্য।
সম্পাদনা: সুপ্রিয় নায়েক