কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
পুজোয় ব্যবহৃত উপকরণ যা আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত— পঞ্চপল্লব, পঞ্চগব্য, ডাব, তিল, হরীতকী, মধু, বিল্ব, হলুদ, স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, শঙ্খ, কজ্জল, ধান, দূর্বা, শ্বেত-সরিষা, লৌহ ইত্যাদি। আবার অন্যদিকে নবপত্রিকার উপকরণ— কলাগাছ, মানকচু গাছ, কালকচু, ধানগাছ, হরিদ্রাগাছ, অশোকডাল, জয়ন্তীডাল, বেল ডাল, ডালিম ডাল , শ্বেত অপরাজিতা লতা এগুলিও আয়ুর্বেদ চিকিৎসার মহান ঔষধ।
পঞ্চপল্লব— অর্থাৎ আম, অশ্বত্থ, বট, প্লক্ষ বা পাকুড় ও যজ্ঞডুমুর। এখানে আম পাতা কফ দুষ্টি এবং গলার সমস্যায় ভালো কাজ করে। কাঁচা আম অজীর্ণ রোগে উপকারী। পাকা আম মধুর রস যুক্ত হওয়ায় অতীব বলকারক ও নিদ্রাজনক হিসেবে ব্যবহার হয়। অশ্বত্থ, বট, পাকুড় গাছের পাতা, ছাল পিত্ত শামক। যজ্ঞডুমুর গাছের পাতা ও ছাল বিভিন্ন ক্ষত রোগে ব্যবহার করা হয়।
ডাব— পুজোয় ব্যবহৃত কচি ডাবের জলে প্রচুর খনিজ থাকে যা শরীরের খুবই প্রয়োজন।
তিল— তিলের তেল আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উত্তম বায়ুনাশক।
হরীতকী— হরীতকী পঞ্চরস যুক্ত একটি মূল্যবান ভেষজ যা কাশির চিকিৎসা, পেটের সমস্যায় খুবই উপযোগী।
মধু— আয়ুর্বেদে আট প্রকার মধুর কথা বলা হলেও বিভিন্ন ওষুধ ও অনুপান (ওষুধ যার সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়) হিসেবে মধুর বহুল ব্যবহার রয়েছে।
স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, লৌহ— আয়ুর্বেদে এই প্রতিটি ধাতুই নির্দিষ্ট শোধন প্রক্রিয়ার পর প্রাণদায়ী ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
শঙ্খ— শঙ্খের ভস্ম তৈরী করার পর বিভিন্ন পেটের রোগে, ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার হয়।
কজ্জল— শুদ্ধ পারদ ও গন্ধকের মিশ্রণে তৈরি আয়ুর্বেদের রসশাস্ত্রের মহান সম্পদ।
কলাগাছ— একটি কলাগাছের সঙ্গে বাকি ৮টি উদ্ভিদ, শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বাঁধা হয়। এর সঙ্গে নারীর অবয়ব রক্ষার্থে ব্যবহার করা দুটি বেলফল। সব শেষে লাল পাড় সাদা শাড়ি আর সিঁদুরের অনুষঙ্গে তাকে দেওয়া হয় স্ত্রীরূপ। বলা হয়, এই ৯টি উদ্ভিদ আসলে দেবী দুর্গারই ৯টি রূপের প্রতীক। কলাগাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী, কচুর অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালী, হরিদ্রার অধিষ্ঠাত্রী দেবী উমা, জয়ন্তীর অধিষ্ঠাত্রী দেবী কার্তিকী, বিল্বের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শিবা, দাড়িম্বের অধিষ্ঠাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা, অশোকের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শোকরহিতা, মানকচুর অধিষ্ঠাত্রী দেবী চণ্ডিকা এবং ধানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী। এই প্রতিটি ভেষজই অমূল্য সম্পদ। আয়ুর্বেদে বহুল ব্যবহৃত। তাই সাধারণ নাগরিকের অবশ্যই উচিত এই সব গাছ সযত্নে রক্ষা করা উচিত।
* পরামর্শে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডাঃ সুমিত সুর।
সম্পাদনা: সায়ন নস্কর